শীতের সময় বাসাবাড়িতে সবচেয়ে বেশি যে গ্যাজেটটি কাজে লাগে সেটি হচ্ছে হিটার। ঘর গরম রাখতে অনেকেই হিটার ব্যবহার করেন। তবে শীতে ঘরে হিটার ব্যবহারে আপনাকে অনেক বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
শীতকালে অনেকেই রুম হিটার বা ব্লোয়ার চালিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। কয়েক মিনিটে ঘর গরম হয়ে যায় ঠিকই। কিন্তু শরীরের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। দীর্ঘদিন টানা ব্যবহার করলে বিপদের সম্ভাবনাও থাকে।
অনেকেই শীতের রাতে দরজা-জানলা বন্ধ করে রুম হিটার চালিয়ে ঘুমোন। এই অভ্যাস অবিলম্বে ত্যাগ করতে হবে। কারণ বদ্ধ ঘরে রুম হিটার চালালে ঘরের মধ্যে কার্বন মনোক্সাইডের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। সেই সঙ্গে ঘরে অক্সিজেনের মাত্রা কমবে। ফলে মস্তিষ্কে রক্ত পরিবহণ সঠিক থাকবে না। যার জেরে ব্রেন হেমারেজ অথবা মৃত্যু অবধারিত।
আরও যেসব সমস্যা হতে পারে-
>> যাদের হার্টের রোগ রয়েছে, তারা যদি রুম হিটার চালিয়ে ঘুমোন, তাহলে তারা কার্বন মনোক্সাইডের সংস্পর্শে আসবেন। যা অতিরিক্ত জটিলতার আশঙ্কাও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেবে।
>> ঘরে হিটার চালিয়ে রাখলে ব্যবহারকারীর দেহ কার্বন মনোক্সাইডের সংস্পর্শে আসার ফলে তা থেকে শরীরে বিষক্রিয়া হতে পারে। এর উপসর্গগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো-মাথাব্যথা, মাথা ঘোরানো এবং বমি ভাব। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ, এই সব উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে হিটার বন্ধ করে দরজা-জানলা খুলে দিয়ে সতেজ হাওয়ায় শ্বাস নিতে হবে।
>> শুধু রুম হিটারই নয়, গ্যাস হিটারও বিপদ ডেকে আনতে পারে। আসলে গ্যাস হিটার চালিয়ে রাখলেও ঘরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। ফলে ঘুমের মধ্যেই মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
>> রুম হিটার চালিয়ে রাখলে তা ত্বক এবং চোখের আর্দ্রতা শুষে নিতে পারে। ফলে চোখ আর ত্বকে চুলকানি, জ্বালাপোড়া, লালচে ভাব, অ্যালার্জি এবং অস্বস্তি হতে পারে। বিশেষ করে রুম হিটার চালিয়ে রাখার ফলে কনজাংটিভাইটিস বা চোখ ওঠার সমস্যাও দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে।
এই সব ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি আরও কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। দাহ্য বস্তু হিটার থেকে দূরে রাখতে হবে আর শক্ত কোনো জায়গার উপরেই রাখা উচিত হিটার। ঘরে না থাকাকালীন কিংবা ঘুমোনোর সময় হিটার চালানো উচিত নয়। বন্ধ করে সব সময় প্লাগ খুলে রেখে দিতে হবে সেটি।