মুগের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন। এছাড়াও থাকে প্রয়োজনীয় খনিজ, ফাইবার। প্রতিদিন সকালে একবাটি অঙ্কুরিত মুগ খেতে পারলে ওজন কমবে তাড়াতাড়ি। আর সুগার রোগীদের জন্য খুব ভালো ব্রেকফাস্ট হলো মুড়ি আর অঙ্কুরিত মুগ। সবুজ মুগ ডাল প্রোটিনের খুব ভালো উৎস। ২০০ গ্রাম মুগ ডাল সেদ্ধর মধ্যে ক্যালোরি- ২১২, ফ্যাট- ০.৮ গ্রাম, প্রোটিন- ১৪.২ গ্রাম, কার্বস- ৩৮.৭ গ্রাম, ফাইবার- ১৫.৪ গ্রাম, এছাড়াও থাকে আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, ফসফরাস, ভিটামিন বি ১ ইত্যাদি।
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, সকালের খাবার মোটেই বাদ দেওয়া উচিত নয়। বরং সেখানে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের উপযুক্ত সমন্বয় থাকা দরকার।
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় একমুঠো ভেজানো মুগে কী উপকার পাওয়া যাবে জেনে নিন—
ডায়াবিটিসের সুরক্ষায়: পারিবারিক ইতিহাসে ডায়াবিটিস রয়েছে? তাহলে প্রতিদিন মুগ ভেজানো খান। কারণ এতে সুগার একদম নেই। আর আপনার গ্লুকোমিক ইনডেক্সও থাকবে নিয়ন্ত্রণে। এছাড়াও মুগডালে প্রোটিন, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। যা আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
ওজন কমে: ওজন কমাতে চাইলে আপনার ডায়েটে অবশ্যই রাখুন একবাটি সবুজ মুগ। থাকে ফাইবার, প্রোটিন। যা আমাদের কোশ গঠনে সাহায্য করে। এছাড়াও মুগ ডালের মধ্যে থাকে অ্যামাইনো অ্যাসিড। তাই মুগ ডাল দিয়ে খিচুড়ি কিংবা চিল্লা বানিয়ে নিন, কিংবা বানিয়ে নিন মুগ পোলাও। এতে যেমন পেট ভরবে তেমনই ওজনও কমবে।
হিট স্ট্রোক: যেভাবে গরম বাড়ছে তাতে বাড়বে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা। গরমের দিনে আজকাল হিট স্ট্রোক খুবই কমন। সবিজ মুগের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটারি বৈশিষ্ট্য। সেই সঙ্গে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। গরমের দিনে শরীরকে আর্দ্র রাখে। সেই সঙ্গে তাপমাত্রার হাত থেকেও শরীরকে বাঁচায়।
হজমের সমস্যায়: অল্পেতেই অনেকের গ্যাস হয়ে যায়। তারা যদি প্রতিদিন এই ফাইবার সমৃদ্ধ সবুজ মুগ খেতে পারেন তাহলে খুবই ভালো। এতে পেট পরিষ্কার হয়। সেই সঙ্গে শারীরিক সমস্যাও থাকে দূরে। আর হার্টের সমস্যা, রক্তচাপ এসবও থাকে নিয়ন্ত্রণে। ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার, পটাশিয়াম থাকায় রক্তচাপ বাড়ার আশঙ্কা থাকে না।
আমার বার্তা/জেএইচ