গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে নাসার হাসপাতালে বোমা ফেলে ৫ জন সাংবাদিকসহ ২০ জনকে হত্যার ঘটনায় ইসরায়েলের ওপর খুশি নন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল সোমবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এ ইস্যুতে নিজের অসন্তুষ্টি জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে নাসার হাসপাতালে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফে)-এর বোমাবর্ষণ প্রসঙ্গে ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমি এই ঘটনায় (ইসরায়েলের প্রতি) খুশি নই। এমন ঘটনা আমি আর দেখতে চাই না এবং একই সঙ্গে আমরা এই ভয়াবহ দুঃস্বপ্নের পুরোপুরি অবসান ঘটাতে চাই।”
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) অবশ্য নাসার হাসপাতালে হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে। এ ঘটনার তদন্ত করা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আইডিএফ।
গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় সকালে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে নাসার হাসপাতালে দু’বার বোমা বর্ষণ করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। এতে নিহত হন ৫ জন সাংবাদিক, যারা বিভিন্ন বিদেশি সংবাদমাধ্যমের ফিলিস্তিনি প্রতিনিধি ছিলেন।
নিহত সংবাদিকরা হলেন, মারিয়াম আবু দাগা (এপি’র ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক), মোহাম্মদ সালামা (আলজাজিরার প্রতিনিধি), মোয়াজ আবু তাহা (রয়টার্সের ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক), হাতেম খালেদ (রয়টার্সের ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক) এবং স্থানীয় সাংবাদিক আহমেদ আবু আজিজ।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হাসপাতালটিতে দু’দফায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। প্রথমবারের হামলায় ৬ তলা হাসপাতালটির ছাদ উড়ে যায় এবং এর পর যখন উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছিল, সে সময় দ্বিতীয়বার হাসপাতালটি লক্ষ্য করে বোমা ফেলে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) অবশ্য সোমাবর বিকেলের দিকে এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমাদের কাছে তথ্য ছিল যে নাসার হাসপাতালে হামাসের সন্ত্রাসীরা আত্মগোপন করে আছে। নাসার হাসপাতালে হামলায় আহত এবং নিহতদের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আইডিএফ এ ঘটনার তদন্ত করবে।”
আইডিএফের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডেফরিন পৃথক এক বিবৃতিতে বলেন, “গাজার বেসামরিক লোকজনদের ওপর হামলা চালানো আমাদের নীতি নয়, তবে হামাসের সন্ত্রাসীরা এই বেসামরিকদের মধ্যে আত্মগোপন করে আছে। তাই বাধ্য হয়ে এসব হামলা করতে হচ্ছে। তবে নাসার হাসপাতালের ঘটনা আইডিএফ তদন্ত করবে।”
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত মিত্র। যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক ও সামরিক সহায়তা ব্যতীত গত প্রায় দু’বছর ধরে গাজায় অভিযান চালানো ইসরায়েলের পক্ষে সম্ভব হতো না।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
আমার বার্তা/জেএইচ