কঙ্গো নদীতে ভয়াবহ নৌকা দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন শতাধিক মানুষ। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দেশটির কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবারের ওই দুর্ঘটনার সময় নৌকাটিতে প্রায় ৫০০ জন যাত্রী ছিলেন। সেদিন উত্তরপশ্চিম কঙ্গোর এমবানডাকার কাছে এইচবি কঙ্গোলো নামে মোটরচালিত কাঠের নৌকাটিতে আগুন ধরে ডুবে যায়।
নদী কমিশনার কম্পেটেন্ট লয়োকোর জানান, একজন নারী নৌকাটিতে রান্না করার সময় আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে। এরপর আতঙ্কের কারণে নারী ও শিশুসহ অনেক যাত্রী নদীতে ঝাঁপ দেন, যাদের অনেকেই সাঁতার জানতেন না।
নৌকার বেশ কিছু যাত্রীকে উদ্ধার করা হলেও বেঁচে যাওয়া অনেকে গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। রেড ক্রস এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহায়তায় দুর্ঘটনায় এখনো নিখোঁজ থাকা মানুষদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
ইকুয়েটুর প্রদেশের সিনেটর জিন-পল বোকেৎসু বোফিলি এই দুর্ঘটনার ভয়াবহতা উল্লেখ করে বলেন, ৫০০ যাত্রীর মধ্যে প্রাণহানির সংখ্যাটা বেশ বড়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ১৫০ জনেরও বেশি দগ্ধ হওয়ায় জরুরি মানবিক সহায়তা প্রয়োজন।
গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতে প্রায়ই নৌকা দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এসব দুর্ঘটনার জন্য অতিরিক্ত যাত্রী বহন, রাতে অনিরাপদ ভ্রমণ এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তা নীতি শিথিলতাকে দায়ী করা হয়। দুর্বল অবকাঠামো এবং সীমিত সড়ক যোগাযোগের কারণে অনেকে কঙ্গোর নদীপথে ভ্রমণের ওপর নির্ভরশীল, যা ঝুঁকিকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
বোফিলি বলেন, আমাদের সুন্দর কঙ্গো নদী এবং আমাদের দেশের হ্রদগুলো দুঃখজনকভাবে জনগণের জন্য গণমৃত্যুর কারণে পরিণত হয়েছে। এটি চলতে পারে না।
আমার বার্তা/এল/এমই