জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য এলিস স্টেফানিককে বেছে নিয়েছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের ‘চিফ অব স্টাফ’ পদে সুসি ওয়াইলসকে নিয়োগ দেওয়ার পর দ্বিতীয় নিয়োগেও একজন নারীকে বেছে নিলেন ট্রাম্প। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
এলিস স্টেফিনিককে জাতিসংঘে মার্কিন দূত হিসেবে নিয়োগের ঘোষণা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমার পরবর্তী প্রশাসনে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত হিসেবে কংগ্রেস সদস্য এলিস স্টেফানিককে মনোনয়ন দিতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি। এলিস একজন অবিশ্বাস্যভাবে শক্তিশালী, অনমনীয় এবং চৌকস আমেরিকান। তিনি প্রথমসারির যোদ্ধা।’
৪০ বছর বয়সী রিপাবলিকান এলিস স্টেফানিক ‘ইসরায়েলের বন্ধু’ হিসেবে পরিচিত। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসে সদস্য। রিপাবলিকানরা মনে করছেন, স্টেফানিককে জাতিসংঘের জন্য বেছে নিয়ে ট্রাম্প অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এদিকে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএএন বলছে, নিজ দেশে স্টেফানিক ট্রাম্পের একজন কট্টর সমর্থক হিসেবে পরিচিত। ২০১৯ সালে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসনের সময় তিনি ট্রাম্পের পক্ষে লড়াকু ভূমিকা রেখেছিলেন। তখন ট্রাম্প তাঁকে ‘রিপাবলিকান স্টার’ বলে অভিহিত করেছিলেন। এ ছাড়া ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প পরাজিত হওয়ার পর তিনি বাইডেনের জয়কে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং ট্রাম্পের মিথ্যা দাবিগুলো প্রচার করেছিলেন।
সোমবার (১১ নভেম্বর) স্টেফানিককে নিয়োগের পাশাপাশি আমেরিকার সীমান্ত নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান হিসবে টম হোমাননেকে নিয়োগের ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গত ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফরে জয়ী হয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে টেলিফোনে অভিনন্দন জানিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসও ট্রাম্পের জয় মেনে নিয়েছেন।