ই-পেপার বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩২

অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারতের হস্তক্ষেপের অবসান চান ৩ দেশ

বাংলাদেশ-নেপাল-শ্রীলঙ্কার পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক
আমার বার্তা অনলাইন:
১০ আগস্ট ২০২৪, ১৭:৫০
আপডেট  : ১০ আগস্ট ২০২৪, ১৭:৫৪
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর লাখো মানুষ জড়ো হন সংসদ ভবন এলাকায়। তাঁদের কারও কারও হাতে ছিল জাতীয় পতাকা।

দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারতের হস্তক্ষেপ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এ দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

এ পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক হলেন বাংলাদেশের নারীবাদী সংগঠন নারীপক্ষের সদস্য এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ফিরদৌস আজিম, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিসের নির্বাহী পরিচালক মঞ্জুর হাসান, নেপালের লেখক এবং ‘হিমাল সাউথ এশিয়ান’ সাময়িকীর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক কনক মানি দীক্ষিত, নেপালের ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশনের সাবেক কমিশনার সুশীল পিয়াকুরেল এবং শ্রীলঙ্কার সাংবাদিক ও সমাজকর্মী লক্ষ্মণ গুনাসেকারা।

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক পরিবর্তিত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বিবৃতিটি দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা, কয়েক দশক ধরে ভারতের রাজনৈতিক, আমলাতান্ত্রিক ও গোয়েন্দা বিভাগের হস্তক্ষেপ বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও নেপালে সীমাহীন রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় ভূমিকা রেখেছে এবং তা কর্তৃত্ববাদী শাসনকে ক্ষমতাবান করেছে। ভারতের হস্তক্ষেপ প্রতিবেশী দেশগুলোর গণতন্ত্র দুর্বল করে দিচ্ছে। এতে দেশগুলোর আর্থসামাজিক অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

প্রতিবেশী দেশগুলোর রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ওই পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক।

এই পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক বিবৃতিতে বলেন, ভারতের এ ধরনের হস্তক্ষেপ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ‘পঞ্চশীল নীতির’ সঙ্গে সাংঘর্ষিক। একসময় ভারতই এ নীতির পক্ষে প্রচার চালিয়েছিল। এ ছাড়া এ ধরনের আচরণ ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকারের বহুল প্রচারিত ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ নীতিকেও অস্বীকার করে। অথচ গোটা দক্ষিণ এশিয়াকে রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ অবস্থায় দেখাটা ভারতের নিজস্ব স্বার্থের পক্ষেই সহায়ক। এটি ভারতের নিজস্ব অর্থনীতির জন্য লাভজনক এবং তা দেশটির আন্তর্জাতিক অবস্থানকে উন্নত করবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত যে সহযোগিতা করেছে, তার জন্য দেশটির প্রতি বাংলাদেশের নাগরিকেরা কৃতজ্ঞ। তবে এর পরের কয়েক দশকে নিজেদের উদ্দেশ্য পূরণের স্বার্থে ঢাকার রাজনীতিকে পরিচালিত করতে চেয়েছে নয়াদিল্লি। এর মধ্যে আছে উজানে নদীর পানি সরিয়ে নেওয়া, বাংলাদেশের ভূখণ্ড দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বে প্রবেশাধিকার এবং বাংলাদেশকে ভারতীয় পণ্যের একটি বড় বাজার হিসেবে ব্যবহার করা। দেড় দশক ধরে নয়াদিল্লি বাংলাদেশে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন জুগিয়ে গেছে এবং বিনিময়ে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সুবিধা পেয়েছে।

বিবৃতিতে শ্রীলঙ্কার প্রসঙ্গে বলা হয়, ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে ভারতীয় শান্তিরক্ষী বাহিনী (আইপিকেএফ) মোতায়েনের মধ্য দিয়ে শ্রীলঙ্কায় ব্যাপকভাবে হস্তক্ষেপ শুরু করে ভারত। তখন থেকে শ্রীলঙ্কাকে বারবারই নিজেদের রাজনীতিতে ভারতের হস্তক্ষেপ মোকাবিলা করতে হয়েছে। পরে নয়াদিল্লি কর্তৃপক্ষ সক্রিয়ভাবে শ্রীলঙ্কায় ভারতীয় ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোকে পাঠাতে থাকে।

নেপালে ভারতের হস্তক্ষেপের প্রসঙ্গও বিবৃতিতে উঠে আসে। এতে বলা হয়, একসময় সক্রিয় রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিকদের মাধ্যমে নেপালে হস্তক্ষেপ করত ভারত। এখন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও আরএসএস-এর হিন্দুত্ববাদী কর্মীদের মাধ্যমেও হস্তক্ষেপ করা হয়।

নেপালের পানিসম্পদের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে দেশটিতে হস্তক্ষেপ শুরু করে ভারত। ২০১৫ সালে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত নেপালের ওপর অবরোধ আরোপ করে ভারত। নেপালে নতুন সংবিধান প্রণয়নকে কেন্দ্র করে এ অবরোধ দেওয়া হয়েছিল। নতুন সংবিধান প্রণয়নকে ভালোভাবে নেয়নি ভারত।

মালদ্বীপ ও ভুটানের অভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্রসংক্রান্ত বিষয়েও ভারত ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার বৈরিতা নিয়েও বিবৃতিতে উদ্বেগ জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এ দুই দেশের বৈরিতার প্রভাব যে শুধু দেশ দুটির সমাজ ও অর্থনীতিতেই পড়ছে তা নয়, অন্য দেশগুলোর ওপরও প্রভাব পড়ছে।

পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক মনে করেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রকাশ্য ও গোপন হস্তক্ষেপ বন্ধের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীল রাজনীতি ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করতে নয়াদিল্লি ভূমিকা রাখতে পারে। তাঁদের মতে, ভারতের উচিত দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের গণতান্ত্রিক আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতি সমর্থন জানানো এবং তাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়তে দেওয়া।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতিবেশী দেশগুলোতে চীনের সংশ্লিষ্টতা নিয়েও ভারতকে উৎকণ্ঠিত বলে মনে হয়। এ ক্ষেত্রে ভারতকে অবশ্যই প্রতিটি প্রতিবেশী দেশের সার্বভৌমত্বের অধিকার মেনে নিতে হবে। দেশগুলোকে তাদের নিজস্ব ইচ্ছা অনুযায়ী চীনের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করতে দিতে হবে, যেমনটা তারা ভারতের সঙ্গে করে থাকে।

তবে বাংলাদেশ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা যেন চীন, ভারত এবং অন্য কোনো শক্তিধর দেশের প্রভাব বলয়ে না থাকে, তার ওপর জোর দিয়েছেন এ পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক।

আমার বার্তা/এমই

ইউক্রেনকে আর সহায়তা করবে না যুক্তরাষ্ট্র: সুলিভান

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় কিছু অঞ্চলের দাবি ত্যাগ করতে সম্মত

বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী নিরাপত্তা জোট করতে চায় পাকিস্তান

বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী নিরাপত্তা জোট গঠন করতে চায় পাকিস্তান। দুই দেশের সেনাবাহিনীর এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে

নিজেদের স্বার্থে টিউলিপকে মন্ত্রী বানায় লেবার পার্টি: দ্য গার্ডিয়ান

ক্ষমতাসীনদের নিজস্ব স্বার্থ হাসিলের জন্য টিউলিপ সিদ্দিককে যুক্তরাজ্যের দুর্নীতি দমনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ডাউনিং স্ট্রিটের

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন গ্রেপ্তার

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার স্থানীয় সময় ভোরবেলা রাজধানী
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভ্যাট-ট্যাক্স বৃদ্ধির প্রতিবাদে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলবে হবে

অবশিষ্ট ডাটা নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিল বিটিআরসি

টিউলিপ ও পুতুলের বিরুদ্ধে আরও দুর্নীতির অনুসন্ধান

ঠাকুরগাঁও সীমান্তের ওপারে বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি আটক

তামাকে রাজস্বের চেয়ে রোগের চিকিৎসা ব্যয় বেশি: ফরিদা আখতার

দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত সাংবাদিকসহ ১২ জন ঢামেকে ভর্তি

রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে কমিশন গঠন

হত্যার বিচার না করতে পারলে আমাদের বাঁচার অধিকার নেই: আইন উপদেষ্টা

ফেব্রুয়ারিতে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংস্কার প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা

পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সামনে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের সংঘর্ষ

৬ কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়ানো হবে: রিজওয়ানা হাসান

শামীম ওসমান ও নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা

খালেদা জিয়ার সম্মানহানি করা হয়েছে: রায়ের রিভিউতে আদালত

সংস্কার প্রতিবেদনের আলোকে গণঅভ্যুত্থানের চার্টার তৈরি হবে

চার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে যেসব সুপারিশ থাকছে

জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর

কর বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের ওপর কতটা প্রভাব পড়বে

বেগম জিলহজ্জ রাজ্জাক মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ড. জহির খান বৃত্তি প্রদান

ডাকসু নির্বাচন : সর্বোচ্চ ৭ বছর ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার সুপারিশ

তরুণ বেকারদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে আনসারে জনবল বাড়ানো হচ্ছে