বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন অনেক তারকাই। নিজ নিজ জায়গা থেকে কেউ রাজপথে, কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন প্রতিবাদও। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন রিয়েলিটি শো ‘পাওয়ার ভয়েস’ খ্যাত গায়ক সজলও। বৈষম্যবিরোধী এ আন্দোলনে থাকার কারণে মামলা হয় তার বিরুদ্ধে।
এ দিকে মামলার পর দুই সপ্তাহের বেশি পালিয়ে থাকতে হয় সজলকে। এমনকি তার মহাখালীর আরজতপাড়ার বাসায় একাধিকবার ব্লক রেইড দেওয়া হয়। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেন সজল।
সংগীতশিল্পী সজল বলেন, প্রথম দিন থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত ছিলাম আমি। যেদিন থেকে রাজপথে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের হামলা হয়, সেদিন থেকে। আমি একজন শিল্পী। এর বাইরে কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই আমার। শিল্পীদের কোনো সংগঠন নেই। আমি শুধু আন্দোলনে যুক্ত হয়েছি, সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাব, জুলুম এবং নির্যাতনের বিরুদ্ধে।
সজল আরও বলেন, ১৫ দিন বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে ছিলাম আমি। বিজয়ের দিন ফিরে আসছি। এখনও ট্রমায় আছি। এরপর আমি আর কোথায়ও আন্দোলনে অংশ নিতে পারিনি। কারণ, আমার এলাকা থেকে জানতে পারি, আমাকে দেখামাত্রই নাকি গুলি করার হুকুম ছিল।
তিনি বলেন, আমার বাসায় যখন পুলিশ হামলা-ভাঙচুর করেছে, তখন তারা বন্দুক উঁচিয়ে বলেছিল, সজলকে দেখামাত্র গুলি করা হবে। আমার অপরাধ, আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে, রাজপথে থাকা মানুষ।
সবশেষে সজল বলেন, ১৯৯০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক সিস্টেম ছিল, এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে আমরা একটা নতুন প্রক্রিয়ার বাংলাদেশ চাই। অবশ্যই গণতান্ত্রিক এবং রাজতন্ত্র নয়, সেটা প্রজাতন্ত্রের হতে হবে।
আমার বার্তা/এমই