তিন দফা দাবিতে লাগাতার পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে থাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বৈঠকে বসছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। আন্দোলনরত শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিত করেছেন মোর্চার আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি শামছুদ্দীন মাসুদ।
তবে এ বৈঠকের নির্দিষ্ট সময় ও স্থান এখনো চূড়ান্তভাবে জানানো হয়নি। আলোচনার মাধ্যমে চলমান অচলাবস্থা নিরসনের উদ্যোগ হিসেবে সরকারের এই পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন শিক্ষক নেতারা।
অন্যদিকে, শিক্ষকদের লাগাতার কর্মবিরতির আজ (বুধবার) ছিল তৃতীয় দিন। দেশের অধিকাংশ বিদ্যালয়ে শিক্ষকেরা ক্লাস না নেওয়ায় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে এসে পড়াশোনার সুযোগ না পেয়ে সময় কাটিয়েছে খেলাধুলা করে।
শিক্ষকরা বলছেন, তারা দ্রুত শ্রেণিকক্ষে ফিরতে আগ্রহী। তবে দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
তারা অভিযোগ করেছেন, বিভিন্ন উপজেলায় শিক্ষা কর্মকর্তারা আন্দোলনকারী শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করে তাদের শোকজ করছেন। কেউ কেউ ডিজি অফিসের মৌখিক বা লিখিত নির্দেশনার কথা বলে এ পদক্ষেপ নিচ্ছেন, যা মাঠপর্যায়ে চাপ তৈরি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রাথমিক শিক্ষকদের তিন দফা দাবি হলো-
১. কনসালটেশন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী যৌক্তিক সংস্কার করে সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ।
২. ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন।
৩. প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতিসহ দ্রুত পদোন্নতি প্রদান।
শুধু তিন দফা দাবিই নয়, শিক্ষকরা শুক্রবার ও শনিবার ছুটি রাখার নিয়ম বহাল রাখা এবং প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় শুধুমাত্র সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবিও তুলেছেন।
এর আগে, গত ৫ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত এক ঘণ্টা, ১৬ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত দুই ঘণ্টা এবং ২১ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন শিক্ষকরা। দাবিতে সমাধান না আসায় ২৬ মে থেকে তাঁরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু করেন, যা এখনো চলছে।
আমার বার্তা অনলাইন:
আমার বার্তা/এমই