গত এক সপ্তাহে রাজধানী ঢাকায় প্যাকেট ও খোলা সব ধরনের আটার দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে সয়াবিন তেল, লবঙ্গ, এলাচ, ধনিয়া, তেজপাতা ও ব্রয়লার মুরগির দাম। বিপরীতে কমেছে ডিম, আদা, রসুন ও লুজ পাম অয়েলের দাম।
সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) থেকে এমন প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের পণ্যের দাম সংগ্রহ করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে টিসিবি।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ে টিসিবির তৈরি করা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শুক্রবার (২২ আগস্ট) ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৯০ টাকায়, যা আগে ছিল ১৬০ থেকে ১৭৫ টাকা।
ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ার দিনে বেড়েছে লবঙ্গের দাম। লবঙ্গের দাম ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা, যা আগে ছিল ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা।
এর একদিন আগে দাম বাড়ে তেজপাতা ও ধনিয়ার। তেজপাতার দাম ৫ শতাংশ বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা, যা আগে ছিল ১৮০ থেকে ২২০ টাকা। আর ধনিয়ার দাম বেড়েছে ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এতে এক কেজি দেশি ধনিয়া বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৮০ টাকা, যা আগে ছিল ১৮০ থেকে ২২০ টাকা।
আরও পড়ুন
কাঁকড়ায় খাওয়া-কাটা ইলিশে সাধ মেটাচ্ছে মধ্যবিত্তরা
লিটারে ১৯ টাকা কমলো পাম অয়েলের দাম
সবজির বাজার চড়া, দিশেহারা ক্রেতা
এলাচের (ছোট) দাম বাড়ে গত ২০ আগস্ট। ৪ দশমিক ১২ শতাংশ দামে বেড়ে ছোট এলাচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৬০০ থেকে ৫ হাজার ৫০০ টাকা, যা আগে ছিল ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার ২০০ টাকা।
খোলা আটার দাম বাড়ে ১৯ আগস্ট। ৮ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ দাম বেড়ে খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৫০ টাকা, যা আগে ছিল ৪২ থেকে ৪৫ টাকা। খোলা আটার দাম বাড়ার একদিন আগে বাড়ে প্যাকেট আটার দাম। ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ বেড়ে প্যাকেট আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা, যা আগে ছিল ৫২ থেকে ৬০ টাকা।
১৯ আগস্ট বোতলের দুই লিটার সয়াবিন তেলের দামও বাড়ে। দশমিক ২৭ শতাংশ দাম বেড়ে বোতলের দুই লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৩৭২ থেকে ৩৭৮ টাকা, যা আগে ছিল ৩৭০ থেকে ৩৭৮ টাকা। এর দু’দিন আগে বাড়ে লুজ সয়াবিন তেল ও বোতলের এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম। দশমিক ৯০ শতাংশ দাম বেড়ে প্রতি লিটার লুজ সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭২ টাকা, যা আগে ছিল ১৬২ থেকে ১৭২ টাকা। আর বোতলের এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮৮ থেকে ১৯০ টাকা, যা আগে ছিল ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা।
সয়াবিন তেলের দাম বাড়লেও কমেছে লুজ পাম অয়েলের। দশমিক ৬৫ শতাংশ কমে লুজ পাম অয়েলের প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৮ টাকা, যা আগে ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। দেশি রসুনের দাম ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ কমে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১৫০ টাকা, যা আগে ছিল ৮০ থেকে ১৬০ টাকা।
আমদানি করা রসুনের দাম ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ কমে কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ২০০ টাকা, যা আগে ছিল ১৬০ থেকে ২০০ টাকা। আমদানি করা আদার দাম ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ কমে কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২৭০ টাকা, যা আগে ছিল ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা।
আমার বার্তা/এল/এমই