বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশে (আটাব) প্রশাসক নিয়োগের প্রতিবাদে এবং নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সংগঠনটির সাধারণ সদস্যরা।
প্রশাসক নিয়োগের প্রতিবাদে আটাব সদস্যদের মানববন্ধন
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকালে রাজধানীর কাকরাইলে আটাব কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণভাবে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো অ্যাসোসিয়েশনে প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে কার্যকর ফল আসেনি। বরং দীর্ঘমেয়াদে প্রশাসক নিযুক্ত থাকায় অ্যাসোসিয়েশনের স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয় এবং সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। আটাবেও আগে কখনো প্রশাসক নিয়োগ হয়নি এবং সাধারণ সদস্যরা এটি চান না।
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, নির্বাচিত কমিটির অধীনেই আটাবের কার্যক্রম পরিচালিত হোক, এটিই সদস্যদের দাবি। অবিলম্বে প্রশাসক প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, যাত্রীর নাম ও পাসপোর্ট ছাড়াই এয়ার টিকিট ব্লক করে কালোবাজারে বিক্রি করছে একটি সিন্ডিকেট, যারা টিকিটের দাম দ্বিগুণ-তিনগুণ বাড়িয়ে সাধারণ যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে ফেলেছে। এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের কিছু জিএসএ এবং হাতে গোণা কয়েকটি ট্রাভেল এজেন্সি সম্পৃক্ত। সরকারের জারি করা পরিপত্র অমান্য করেও এই এজেন্সিগুলো ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ও কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারকে।
বক্তারা আরও বলেন, অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি (ওটিএ) পরিচালনায় এখনো কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নেই। ফলে কিছু ওটিএ এজেন্সি ট্রাভেল ব্যবসা ও সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে উধাও হয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য দ্রুত ওটিএ নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
মানববন্ধনে আটাব সদস্যদের পক্ষ থেকে, বিগত সরকারের সময় গড়ে ওঠা টিকিট সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা জুম্মন চৌধুরী ও সবুজ মুন্সির গ্রেফতার এবং তাদের এজেন্সি লাইসেন্স বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণে দাবি তোলা হয়। বিমান মন্ত্রণালয়কে কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে বলে মত দেন বক্তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আটাব সাধারণ সদস্যদের প্রধান সমন্বয়ক শাহ আলম কবির। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন আরও আটাব সদস্য শরীফুল আলম দিপু, মোশাররফ হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, নুরুল আলম, মাহমুদুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, সুমন, ফয়সাল করিম জনি, ইমাম হোসেন, আনোয়ার হোসেন, মোজাফ্ফর হোসেন, জসিম হোসেন প্রমুখ।
আমার বার্তা/এল/এমই