ঈদুল আজহা ঘিরে মসলার চাহিদা বাড়লেও বরিশালে স্থিতিশীল রয়েছে মসলার বাজার। বেশ কিছুদিন ধরেই মসলার দাম অনেকটা আগের মতোই রয়েছে। তবে পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারে কিছুটা বেশি দামে মসলা বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
সোমবার (২ জুন) সকালে চকবাজার, বাজার রোড, বাংলাবাজারসহ আরও কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারি বাজারে মানভেদে প্রতিকেজি এলাচ ৪৬০০-৫০০০, জিরা ৫৫০-৬৫০ টাকা, দারুচিনি ৪৫০-৫০০ টাকা, লবঙ্গ ১৩৫০-১৪৫০ টাকা, কালো গোলমরিচ কেজি ১৪০০-১৫০০, কিশমিশ ৫৫০-৬৫০ টাকা, আদা ১০০-১২০ টাকা কেজি, রসুন ১২০-১৪০ টাকা ও পেঁয়াজ ৫০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে খুচরা বাজারে মসলার দাম প্রতি কেজিতে ৫০-৬০ টাকা বেশি দেখা গেছে।
মসলার পাইকারি ব্যবসায়ী বলেন, গত কয়েক মাস ধরেই মসলার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝে একবার মসলার দাম কিছুটা বাড়লেও আবার কমেছে। তাছাড়া এখন মসলার সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। তাই দাম আগের তুলনায় কম।
মসলা ব্যবসায়ী জানান, অনেক মসলা দেশের বাইরে থেকে আমদানি করা হয়। তাই মসলার দাম অনেকটা বিশ্ববাজারের ওপর নির্ভর করে। তবে পাইকারি বাজারে মসলা যে দামে বিক্রি করা হয় খুচরা বাজারে তার চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়ার কারণে অনেকে মনে করেন পাইকারি বাজারেও মসলার দাম বেড়েছে।
বাংলাবাজার এলাকার খুচরা ব্যবসায়ী বলেন, পরে প্যাকেজিং ও সংরক্ষণের খরচের জন্য দাম খুচরা পর্যায়ে কেজিতে কিছুটা বেশি রাখতে হয়। অন্যথায় সব খরচ দিয়ে পোষানো যায় না।
তবে ক্রেতারা বলছেন, মসলার দাম স্থিতিশীল থাকলেও সাধারণের নাগালের মধ্যে নেই। ছোট পরিবারগুলোর জন্য একসঙ্গে অনেক মসলার দরকার হয় না, তাই তাদের খুচরা বাজারের ওপর নির্ভরশীল হতে হয়। মসলার দাম পাইকারি বাজারেও কমানো উচিত। পাইকারি বাজারে দাম কমলে খুচরা বাজারেও দাম কমে যাবে।
আমার বার্তা/এল/এমই