সোমবার (৭ এপ্রিল) তেলের দামে ধস নেমেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ খবর জানিয়েছে।মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর ব্যাপক শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তেলের দামে ধস নামে।
বিশ্ববাজারে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ৩.৫% কমে ব্যারেলপ্রতি ৬৩.৩০ ডলারে লেনদেন হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মানদণ্ড ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডবালিউটিআই) তেলও ৩.৫% কমে ব্যারেলপ্রতি ৫৯.৮৪ ডলারে নেমে এসেছে। দুটি তেলই এখন এমন এক দামে লেনদেন হচ্ছে যা ২০২১ সালের শুরু থেকে দেখা যায়নি। যখন বিশ্ব করোনাভাইরাস মহামারির সঙ্গে লড়াই করছিল তখন তেলের দাম কমেছিল।
তেলের এই দামপতনের পেছনে অন্যতম কারণ হলো, বিশ্বের শীর্ষ তেল উৎপাদকদের জোট ওপেক+ গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের চমকে দিয়ে পূর্বঘোষিত পরিকল্পনার চেয়ে অনেক বড় পরিমাণে তেল সরবরাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সৌদি আরব, রাশিয়া এবং ওই জোটের আরও ছয়টি সদস্য দেশ মে মাস থেকে পূর্বঘোষিত তুলনায় অনেক বেশি তেল উৎপাদন বাড়াতে সম্মত হয়েছে।
এদিকে ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ এবং চীনের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় আরোপিত উচ্চ শুল্কের জেরে বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে শুরু হওয়া ধস আরও গভীর হয়েছে। সোমবার এশিয়ার শেয়ারবাজারগুলোতে বড় ধরনের পতন হয়েছে। জাপানের বেঞ্চমার্ক নিকেই ২২৫ সূচক ৭.৯% কমেছে। আর বৃহত্তর টপিক্স সূচক পড়েছে ৭.৭%।
সোমবার দিনের শুরুতেই ইউরোপীয় শেয়ারবাজারগুলোতেও পতন লক্ষ্য করা যায়, তবে তা এশিয়ার তুলনায় কিছুটা কম। জার্মানির ডিএএক্স সূচক ৯% এবং লন্ডনের এফটিএসই ১০০ সূচক প্রায় ৫% কমেছে। মার্কিন ও বৈশ্বিক শেয়ারবাজার যখন ধসে পড়ছে, তখন ট্রাম্প বলেন, তিনি চান না ‘কিছুই নিচে নেমে যাক’। তবে জোর দিয়ে বলেন ‘কখনো কখনো কিছু ঠিক করতে ওষুধ খেতেই হয়।’
অন্যদিকে ট্রাম্প নতুন করে ব্যাপক হারে শুল্ক আরোপের পর থেকে ৫০টিরও বেশি দেশ বাণিজ্য আলোচনা শুরু করার জন্য হোয়াইট হাউসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
আমার বার্তা/এল/এমই