ব্যবসায়ী নামধারী চেক জালিয়াতি ও বহু অপকর্মে হোতা দিদারুল আলম জনৈক নিরীহ ব্যবসায়ী মো. সেলিমের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঢাকা লালবাগ থানার ১৭, দেবীদাস ঘাট লেনের মৃত শরীফের পুত্র মো: সেলিম বিগত কয়েক বছর যাবৎ চট্টগ্রাম বন্দর থানাধীন ৩৭ নং ওয়ার্ডের মুনির নগর চৌচালা, মধ্যম হালি শহর, কইশ্যা পুকুর পাড়ে মেসার্স তাকুয়া এন্টারপ্রাইজ নামে লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করে আসছে। ব্যবসায়িক সূত্রে চট্টগাম জেলার আনোয়ারা থানার মামুর খাইন গ্রামের মৃত আবু তাহেরের পুত্র দিদারুল আলমের সাথে মো:সেলিমের পরিচয় হয়।দিদারুল আলম লিপি এন্টার প্রাইজ নামে একাট ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান চালু করে। সেলিম দিদারুলের লিপি এন্টারপ্রাইজ থেকে বিগত ২০১৭ সাল থেকে ওয়েস্টেজ পেপার এম কাট নগদ টাকা ও চেকের মাধ্যমে ক্রয় করতেন।সেলিম ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত দিদারকে ৮ লক্ষ ৪১ হাজার ৯০ টাকার চেক দেন।বিভিন্ন সময়ে সহজ,সরল ও নিরিহ ব্যবসায়ী সেলিম ঐ দিদারকে ৩ লক্ষ ৫৯ হাজার ২ শত ১০ টাকা নগদ দিলেও চেকগুলো ফেরত নেননি।সেলিম আবার ২০১৮ সালের ১০ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যনÍ দিদারকে ৪ লক্ষ ৮২ হাজার ৫০ টাকার চেক প্রদান করেন।
পরে সেলিম নগদ ৭০ হাজার টাকা ও ইসলামী ব্যাংকের হালিশহর শাখায় ওইড ২২৯৭৭০২ চেকের মাধ্যমে ২ লক্ষ ৬ হাজার টাকা এবং ওইড ২২৯৭৭০৩ চেকের মাধ্যমে ২লক্ষ ৬ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। উল্লেখ্য যে, দিদার ২ লক্ষ ৬ হাজার টাকার ২টি চেক সাদা কাগজে চেক নং উল্লেখ করে সেলিমের কাছ থেকে বুঝিয়া নিলাম বলে স্বাক্ষর করে।সেলিম দিদারকে ২০১৮ সালর ২ জুলাই ইসলামী ব্যংক–হালিশহর ছট্টগাম শাখায় ওইড ৪৮৯৯৭০০ চেকের মাধ্যমে ৯৭ হাজার ৩০ টাকার চেক দেন। ধূর্ত দিদার ঐ চেকে ৯৭ হাজারের পূর্বে ২০ বসিয়ে ২০ লক্ষ ৯৭ হাজার ৩০ টাকা বানিয়ে ভ’য়া,মিথ্যা চেকের মাধ্যমে সেলিমের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম সি এম এম আদালতে এসটি ৭৭৪৪/১৯ মামলা দায়ের করে।প্রতারক দিদারের দায়ের করা সি আর ৩৪/২০১৯ এন আই অ্যাক্টের মিথ্যা মামলার কারণে নীরিহ ব্যবসায়ী সেলিম হয়রানির শিকার।
এ ব্যাপারে ব্যবসায়ী সেলিম চেক জালিয়াতির হোতা প্রতারক দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা মেজিস্ট্রেটের আদালতে মিস মামলা নং-১০৮৫/২০ দায়ের করেছে চেক উদ্ধারের জন্য। মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। ব্যবসার নামে প্রতারক দিদার নিরীহ মানুষদের এমনিভাবে হয়রানি করেছে।