নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগকে অবৈধ অর্থের যোগান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডসহ একাধিক মামলার আসামি রিপনুল হাসানকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।
বুধবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় ঢাকার তাঁতীবাজারে তার গহনার কারখানা থেকে তাকে আটক করা হয়।
তার গ্রেফতারের খবরে বুধবার রাতেই চুয়াডাঙ্গা শহরের শহীদ হাসান চত্বরে স্থানীয়রা মিষ্টি বিতরণ করেন। তাদের অভিযোগ, রিপন মাদক, জুয়া ও অস্ত্র কারবারেও জড়িত ছিলেন। অনেক তরুণ তার কারণে বিপথে গেছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দৌলাতদিয়াড় গ্রামের বাসিন্দা রিপনুলের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত দায়ের করা চারটি মামলায় হত্যা, রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড ও সংঘবদ্ধ সহিংসতার অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, রিপনুল হাসান স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমে কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। ঢাকায় তার গহনা কারখানা ও জুয়েলারি শোরুম রয়েছে। তিনি মোবাইল ব্যাংকিং নগদ ও মোবাইল ফোন কোম্পানি সিম্ফোনির চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর জেলার ডিস্ট্রিবিউটরও। প্রভাবশালীদের সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রচার করে নিজেকে ক্ষমতাধর হিসেবে তুলে ধরতেন তিনি।
এদিকে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক বিবৃতিতে রিপনের গ্রেফতারকে হয়রানিমূলক বলে উল্লেখ করে তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছে এবং দেশজুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য জুয়েলারি ব্যবসা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। তবে চুয়াডাঙ্গার স্থানীয়রা জানিয়েছেন এখানে তার পক্ষে কোনো দোকান বন্ধ থাকবে না।
আমার বার্তা/এল/এমই