কক্সবাজারের টেকনাফে এখনো পলিথিন বন্ধের কোন অভিযান পরিচালনা করা হয়নি। ফলে দিন দিন বাড়ছে পরিবেশ ধ্বংসকারী পলিথিনের ব্যবহার।
সূত্রে জানা যায়, বনও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সারা বাংলাদেশে পলিথিন বন্ধের জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত থাকলেও কক্সবাজার জেলার সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে এখনো পর্যন্ত পলিথিন বন্ধের কোন অভিযান পরিচালনা করা হয়নি।
উপজেলা ও পৌরসভার হাট বাজার পরিদর্শনে দেখা যায় যত্রতত্র পলিথিনের অবাধ ব্যবহার হচ্ছে। পলিথিন ব্যবহারের কারণে নালা-নর্দমা পরিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যা বৃষ্টি হলে পানি নিষ্কাশিত হতে পারে না। এ কারণে দূষিত পানিতে হাটবাজার সয়লাব হয়ে পড়ে। এতে বাজারে আসা লোকজনদের চলাফেরায় ব্যাপক কষ্ট হয়ে যায়। পাশাপাশি দূষিত পানিতে মশা-মাছি উৎপাদন হয়ে পরিবেশকে দূষিত করে তুলে।
স্থানীয় লোকজন জানান, নিত্যনতুন দিনে ব্যবহারকারী পলিথিন যেখানে সেখানে ফেলে দেওয়ার ফলে উক্ত পলিথিন পচে না যাওয়ায় মাটির উর্বরা শক্তি ধ্বংস হয়ে এতে কোন ফসল ফলে না। এ পরিবেশ দূষণকারী পলিথিন বন্ধ করা না হলে এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন জানান। সুতরাং পরিবেশ ধ্বংসকারী পলিথিন ব্যবহার ও বন্ধে সকল স্তরের লোকজনকে এগিয়ে আসতে হবে বলে সচেতন মহল মনে করেন।
এদিকে পলিথিন ব্যবহারের ফলে পরিবেশের কি কি ক্ষতি হয়, সে বিষয়ে কক্সবাজার বনও পরিবেশের এক কর্মকর্তা জানান, পলিথিনের ব্যবহারে মাটির উর্বরতা কমে যায়।এবং কৃষিকাজে ব্যাপক সমস্যা সৃষ্টি করে। পলিথিনের ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদানগুলো মাটির প্রাকৃতিক গঠন পরিবর্তন করে। এর ফলে কৃষিজমিতে ফলন কম হয়। আবার অনেক সময় পলিথিন নদী, খাল, সাগর এবং অন্যান্য জলাশয়ে জলজ প্রাণীর জন্য খুব বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন জানিয়েছেন, টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে যেন কোন রকম পলিথিন না ঢুকে বা ব্যবহার না হয় সে বিষয়ে আমরা কঠোর ভূমিকা পালন করছি। আর টেকনাফের বিভিন্ন হাটবাজারগুলোতে পলিথিনের ব্যবহার অনেকটা কমে গেছে। আমরা খুব শিগগিরই মনিটরিংয়ের মাধ্যমে তা সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ করব।