রাজধানীর হাজারীবাগের আমলি টাওয়ার গলিতে ছুরিকাঘাতে জুলেখা বেগম(৪৫) নামে এক নারীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সাবেক স্বামী নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।এই ঘটনায় সাবেক স্বামী নজরুল ইসলামকে হাতেনাতে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত জুলেখা বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার আয়োডিহি গ্রামের নুর উদ্দিন শেখের মেয়ে। বর্তমানে হাজারীবাগের
ঝাউচরে ভাড়া থাকতো। সে বাসা বাড়িতে কাজের বুয়া হিসাবে কাজ করতো বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি)রাত সাড়ে ৮ টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। পরে রাত পৌনে নয়টা নাগাদ মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্বামী কবির জানান, আমি চলতি মাসের ২০ তারিখে জুলেখা বেগমকে বিয়ে করেছি। আমি সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করি। ডিউটি করার সময় জানতে পারি আমার স্ত্রীকে তার সাবেক স্বামী নজরুল ইসলাম পেটে ছুরি মেরে হত্যা করেছে। ছুরি মারার সময় স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
নিহত জুলেখার ভাগ্নী ইয়াসমিন জানান, আমার খালা আর তার সাবেক স্বামী নজরুল ইসলাম আপন চাচাতো ভাই বোন ছিল পরে তারা বিয়ে করে। তার ঘরে এক ছেলে এক মেয়ে রয়েছে। বড় ছেলেকে বিয়ে দিয়েছে তার একটি সন্তানও রয়েছে। আমার বড় খালু নজরুল ইসলামকে ডিভোর্স দিতে বাধ্য করে বর্তমান স্বামী কবির হোসেন। চলতি মাসে কবির হোসেন তাকে বিয়ে করে। সেই ক্ষোভে আজ নজরুল ইসলাম আমার খালার পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক জানায় আমার খালা আর বেঁচে নেই। আমার খালা বাসা বাড়িতে কাজ করতো। কান্না জড়িত কণ্ঠে ইয়াসমিন জানান আজকে যদি কবিরকে আমার খালা বিয়ে না করতো তাহলে আমার খালাকে জীবন দিতে হতো না। নজরুল ইসলাম রাগে ক্ষোভে আমার খালাকে হত্যা করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাজারীবাগ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, হাজারীবাগের আমলা টাওয়ার এলাকায় এক নারীকে পেটে ছুড়ি ঢুকিয়ে দেওয়ার পর স্থানীয় জনতা নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশের সোপর্দ করে। হাসপাতালে নেওয়ার পর আহত জুলেখা বেগম মারা যায়। আমরা জানতে পেরেছি নজরুল ইসলাম নিহত জুলেখা বেগমের সাবেক স্বামী। বর্তমানে নজরুল ইসলাম নামে ওই ব্যক্তি আমাদের কাছে আটক রয়েছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
আমার বার্তা/এম রানা/এমই