নড়াইলের রাসেল ব্রীজের উপর পুলিশের কটি পড়ে দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে সময় টিভির নড়াইল জেলা প্রতিনিধি সৈয়দ সজিবুর রহমান সজিবের উপর। চিকিৎসক জানিয়েছেন তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) ভোর রাতের দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের ৭ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গুরুতর আহত সাংবাদিক সজিব জানান, আমি রাতে লোহাগড়া নিরিবিলি পার্কের সামনে একটি দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সেই সংবাদ সংগ্রহের জন্য সেখানে যাই। পরে জানতে পারি রাস্তা পারাপারের সময় একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। পরে সেখান থেকে রাতে নড়াইলে ফেরার পথে নড়াইলের রাসেল ব্রীজের উপরে দেখতে পাই একটি মোটরসাইকেল নিয়ে পুলিশের রিফ্লেক্টিভ কটি পড়ে কয়েকজন দাঁড়িয়ে আছে। পরে আমাকে সিগনাল দিলে আমি দাঁড়াই। আমি জিজ্ঞেস করি আপনি কে, সে জানায় আমি ডিবি পুলিশ। আমি তার নাম জানতে চাইলে সে জানায় তার নাম আরিফ। পরে যখন আমার মোটরসাইকেলের সামনে সময় টিভির স্টিকার লাগানো দেখে তখন আরেকজন পেছন থেকে এসে আমার পেটে ছুরিকাঘাত করে। পরে আমি তাদের সাথে ধস্তাধস্তি করার ফাকে তারা আমার হাতে এবং বাম দুই পায়ে ছুরিকাঘাত করে। পরের পাশ থেকে আমার পরিচিত কয়েকজন ছোট ভাই চলে আসলে তারা পালিয়ে যায় এ সময় আমি থানায় ফোন দেই। পরে পুলিশ এসে আমাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে কোনভাবেই আমার রক্ত বন্ধ না হওয়ায় আমাকে ঢাকায় রেফার্ড করে। তারা দুইজন ছিল, মুখ বাধা থাকায় কাউকে চিনতে পারেনি।
তিনি আরো বলেন, এটা কি নিছক ছিনতাই এর ঘটনা নাকি অন্য কোন ঘটনা আছে সে বিষয়টি এখন বলতে পারছি না। আজ সকালে ঢাকা মেডিকেলে আমার পেটে, পায় ও হাতে অস্ত্রোপচার হয়েছে। শরীর থেকে অনেক রক্ত বেরিয়ে গেছে এখন পর্যন্ত ছয় ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে কি অবস্থায় এ বিষয়ে জানতে চাইলে জরুরী বিভাগের ক্যাজুয়ালিটির ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের চিকিৎসক ডা.শিহাবুন সাকিব বলেন, সকালে তার অপারেশন হয়েছে এখন দেখতে পাচ্ছি পেটে যে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন এবং পায়ে যে কাটার চিহ্ন ছিল সবকিছুই অপারেশন করা হয়েছে। তবে পেটের যখমটি বেশি গভীরে নয়। পায়ে একটু সমস্যা আছে। এই মুহূর্তে এই রোগীর বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না।যিনি অপারেশন করিয়েছেন তিনি আগামীকাল এসে বাকি বিস্তারিত আপনাদের জানাতে পারবেন।
আমার বার্তা/এম রানা/এমই