রাজধানীর যাত্রাবাড়ী দনিয়ার বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে মোছাঃ নুসরাত জাহান (১০) নামে এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছে। বুধবার (৮মে) রাত সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। পরে স্বজনরা তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক রাত দশটার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। নুসরাত তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
নিহত নুসরাত বরিশালের কোতোয়ালী থানার নলচর গ্রামের মোঃ ইউসুফ মিয়ার মেয়ে।বর্তমানে পরিবারের সাথে যাত্রাবাড়ীর দনিয়া ২৪১ নং আনন্দবাজার বাসার নিচতলায় ভাড়ায় থাকতো।
নিহতের বাবা ইউসুফ মিয়া জানান, আমার এক ছেলে এক মেয়ের মধ্যে নুসরাত ছিল সবার বড়। সামনের ১২ তারিখে মাদ্রাসায় তার পরীক্ষা হওয়া কথা। আজ আমরা যখন সন্ধ্যের দিকে মার্কেটে যাই তখন তাকে বলেছিলাম মা তুই আমাদের সাথে চল। তখন নুসরাত বলেছিল সামনে আমার পরীক্ষা আমি যাব না, আমার অনেক পড়া আছে। পরে আমি তার সাথে ছোট ভাই ও তার মাকে নিয়ে মার্কেটে যাই। যাবার সময় ঘরের দরজা বাইরে থেকে তালা দিয়ে যাই।মেয়ের জন্য জামা কাপড় ও কিছু ফল কিনে রাতে যখন বাসায় ফিরি তখন দেখি আমাদের বাড়ির সামনে লোকজন জড়ো হয়ে আছে। জানতে চাইলে লোকজন আমাকে জানায় আপনার মেয়ে বারান্দার গ্রিলের সাথে ওড়না পেচিয়ে ঝুলে আছে। তখন দ্রুত ঘরে ঢুকে গ্রিলের সাথে নুসরাতের ঝুলন্ত অচেতন দেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান আমার মেয়ে আর বেঁচে নেই। "ভাইরে কেন নুসরাত এ কাজটি করল আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। আমি তো মেয়েকে সুরক্ষার জন্য বাইরে থেকে তালা দিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু কই, তাকে তো রক্ষা করতে পারলাম না রে ভাই"। এই বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবা ইউসুফ মিয়া।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোঃ বাচ্চু মিয়া জানান, ওই কিশোরীর মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে।