ই-পেপার শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

রাজধানীতে শব্দ দূষণের শিকার ৯৬ শতাংশ মানুষ

কমল চৌধুরী:
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪৮
আপডেট  : ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০২

শব্দ দূষণ আইনের সঠিক প্রয়োগ না থাকার ফলে কেউ আইন না মানায় রাজধানীতে বসবাসরত প্রায় ৯৬ শতাংশ মানুষ শব্দ দূষণের শিকার হচ্ছে অনবরত।

রাজধানীতে প্রতিনিয়ত যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব যানবাহন থেকে প্রচুর শব্দ দূষণ হচ্ছে। ঢাকা শহরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান যেমন; হাসপাতাল ও স্কুল কলেজের সামনেই স্থাপন করা হয়েছে বাসস্ট্যান্ড।

রাজধানীর কয়েকটি স্থানে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, শাহবাগস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, বারডেম, ল্যাবএইড, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ বেশ কয়েকটি হাসপাতালের সামনে বাস দাঁড়াচ্ছে। ধানমন্ডিতে পপুলার ডায়াগনস্টিক এর সামনে অনেকগুলো বাস একসাথে দাঁড়িয়ে ইচ্ছেমতো হর্ন বাজাচ্ছে । বি এস এম এম ইউ, বারডেমসহ প্রায় সব হাসপাতালের সামনে একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। প্রতিটি স্থানেই আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্বরত থাকলেও তাদেরকে এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি এবং যাচ্ছে না।

দায়িত্বরত একজন পুলিশ কর্মকর্তার সাথে আলাপকালে জানান, এসব বাস ড্রাইভারদেরকে আমরা অনেকবার নিষেধ করেছি । তারা শব্দ দূষণ আইন মানতে চায়না। মাঝে মাঝে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁদের জরিমানাও করে। কিন্তু কোন লাভ হয় না। তারা পূর্বের কায়দায় বার বার ফিরে আসে । অথচ নগরবাসী বাসা থেকে বের হতেই পড়তে হচ্ছে শব্দ দূষণের বিড়ম্বনায় । এ বিষয়ে সরকারের একটি নীতিমালাও রয়েছে। কিন্তু এর কার্যকারিতা না থাকায় শব্দ দূষণ কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। অথচ শব্দ দূষণের ফলে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে আমাদের কোমলমতি শিশু ও গর্ভবতী নারীরা। বর্তমানে প্রতিযোগিতা দিয়ে বাড়ছে শব্দ দূষণ। ভয়াবহ এই সমস্যার প্রতিরোধ ব্যবস্থা এখন সম্পূর্ণ উপেক্ষিত।শব্দ দূষণ রোধে নীতিমালা হলেও বাস্তবতা ভিন্ন। এই আইনের কোনো প্রয়োগ না থাকায় দিন দিন শব্দ দূষণ দ্রুত হারে বাড়ছে। শব্দ দূষণের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছে শিশুরা । এর প্রভাবে গর্ভবতী নারীদের শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত গর্ভজাত সন্তান অনেক সময় প্রতিবন্ধীসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। উচ্চ শব্দ শারীরিক ও মানসিক উভয় ক্ষেত্রেই চরম ক্ষতিকর।। অসচেতনতার কারণে রাজধানীতে শব্দ দূষণের শিকার হচ্ছে শতকরা ৯৬ ভাগ মানুষ । শব্দ দূষণের ফলে একদিকে মানুষের শ্রবণ ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে, অপর দিকে মাথা ধরা, অনিদ্রা, হার্টের রোগসহ আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন জটিল রোগে । শব্দদূষণের অন্যতম কারণ হিসেবে গাড়ির হর্নকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা । এছাড়া যত্রতত্র কলকারখানা স্থাপন,ভবন নির্মাণের সময় ইট ভাঙ্গা মেশিন থেকে এ শব্দ দূষণ ছড়াচ্ছে । ফলে শব্দদূষণ প্রতিরোধ করা এখনই জরুরি হয়ে পড়েছে।

আইনানুযায়ী নগরীতে শব্দের সহনীয় মাত্রা থাকার কথা রয়েছে । আবাসিক এলাকার জন্য দিনে ৪৫ এবং রাতে ৩৫ ডেসিবেল, মিশ্র এলাকায় দিনে ৬০ রাতে ৫০ ডেসিবেল এবং শিল্প এলাকার জন্য ৭০ ডেসিবেল। কিন্তু এই আইন কেউই মানছে না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ৬০ ডেসিবেল শব্দে মানুষের সাময়িক শ্রবণ শক্তি নষ্ট হতে পারে এবং ১০০ ডেসিবেল শব্দে চিরতরে শ্রবণশক্তি হারাতে পারে। তাদের হিসাব অনুযায়ী কোন এলাকায় ৬০ ডেসিবেল মাত্রার বেশি শব্দ হলে সেই এলাকা দূষণের আওতায় চিহ্নিত হবে। সংস্থার হিসেব অনুযায়ী অফিস কক্ষে ৩০ থেকে ৪০ ডেসিবেল হাসপাতালে ২০ থেকে ৩৫ ডেসিবেল, রেস্তোরাঁয় ৪০ থেকে ৬০ ডেসিবেল মাত্রা সহনীয় । এই হিসাব অনুযায়ী রাজধানীর কোথাও শব্দের মাত্রা ৬০ থেকে ৭০ ডেসিবেলের কম অথবা এর নিচে নেই। উচ্চমাত্রার শব্দ জীবন করে স্তব্ধ।

হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার অবৈধ, নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয়। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০০৬ অনুযায়ী যানবাহনের অতিমাত্রার সাধারণ ও উচ্চ মাত্রার হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার, যানবাহনের অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহার করা যন্ত্রাংশের শব্দ, বিভিন্ন প্রচারণার কাজে ও অনুষ্ঠানে মাইক এবং সাউন্ড স্পিকারের উচ্চ শব্দ, সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত মিক্সচার মেশিনসহ নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা অন্যান্য যন্ত্র বা যন্ত্রপাতি চালানো দণ্ডনীয় অপরাধ। প্রথম অপরাধের জন্য অনধিক ১ মাস কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড এবং পরবর্তী অপরাধের জন্য অনধিক ৬ মাস কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।শব্দদূষণ একটি নীরব ঘাতক, এটি বহুবিধ স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ।শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সকলের সদিচ্ছা,সহযোগিতা ও সচেতনতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

আমার বার্তা/এমই

সেনাবাহিনী জলক্রীড়া প্রতিযোগিতা সমাপ্ত

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জলক্রীড়া (সাঁতার, ওয়াটার পোলো এবং ডাইভিং) প্রতিযোগিতা ২০২৪ এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী

ঢাকায় অতিরিক্ত গরমে আনসার সদস্যের মৃত্যু

অতিরিক্ত গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় আবু তালেব (৫০) নামে এক আনসার সদস্যের

রাজধানীতে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে কিশোরের মৃত্যু

রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ঢাকা গামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে পড়ে অজ্ঞাত একটি কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।

ডেটিং অ্যাপে বান্ধবীকে বিক্রি করলেন বান্ধবী

‘বেশ কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করছি বাসা থেকে বের হলেই আশপাশের কিছু মানুষ আমার দিকে কৌতূহল
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইন্টারনেটের গতিতে দুই ধাপ এগোলো বাংলাদেশ

বিসিবির আপত্তি, ‘পাত্তা’ দিল না আইসিসি

বিদেশি ঋণ পরিশোধের অবস্থায় নেই সরকার: ড. দেবপ্রিয়

আজ বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

কুমিল্লায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেল বাস, নিহত ৫ 

১৭ মে : ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা

তিন জেলায় হিট স্ট্রোকে চারজনের মৃত্যু, বাড়ছে তাপপ্রবাহ

জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীতে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা

চট্টগ্রামে বে টার্মিনালে ১০০ কোটি ডলার দিচ্ছে আবুধাবি পোর্টস

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হবে না: প্রতিমন্ত্রী

মালদ্বীপে দুই প্রবাসী বাংলাদেশির অস্বাভাবিক মৃত্যু

সেনাবাহিনী জলক্রীড়া প্রতিযোগিতা সমাপ্ত

ভূমিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

ঢাকায় অতিরিক্ত গরমে আনসার সদস্যের মৃত্যু

৩০ ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর দখলে শীতলক্ষ্যা নদীর দুই পাড়

বাজারভিত্তিক সুদহারেও হস্তক্ষেপ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক

গজারিয়ায় ৫ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন

এনইসি সভায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেল যে ১০ খাত

শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: রাষ্ট্রপতি