মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনাকে কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড আখ্যা দিয়ে দুই দফায় মশাল মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
২২ জুলাই (মঙ্গলবার) রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে একটি মিছিল বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় গিয়ে শেষ হয়। অন্যটি রাত সাড়ে ১০টায় বটতলা থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে শুরু হয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে দুই গ্রুপই সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।
নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগরের ব্যানারে হওয়া কর্মসূচিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ফাইজা মেহজাবিন প্রিয়ন্তী বলেন, আমরা একটা মর্মান্তিক সময়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। যে শিশুদের আকাশের দিকে তাকিয়ে স্বপ্ন দেখার কথা ছিল, সেই শিশুদের নিথর দেহ এখন আমাদের দেখতে হচ্ছে। শিশুদের টিফিনবক্স ফেরত এসেছে, কিন্তু তারা আর ফেরেনি। এটা কোনো দুর্ঘটনা নয়, এটি একটি কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো যৌক্তিক বা শক্তিশালী পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। আরও দুঃখজনক হলো, এখনো নিখোঁজদের সঠিক সংখ্যা জানা যাচ্ছে না। আমাদের জুলাই এখনো শেষ হয়নি, দেশের মানুষের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনাকে কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড আখ্যা দিয়ে দুই দফায় মশাল মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা
রাত সাড়ে ১০টার কর্মসূচিতে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের একাংশের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ইমন বলেন, আমরা ধারণা করছি সেখানে স্টাফ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ প্রায় দুইশত মানুষ নিহত হতে পারে, কিন্তু ইন্টেরিম সেটাকে গতকাল ১৯ জন এবং শেষ পর্যন্ত ২৯ জন পর্যন্ত দেখিয়েছে। আমরা ইন্টেরিমকে ধিক্কারের সাথে বলতে চাই আপনারা বিগত প্রশাসনের কাজের পুনরাবৃত্তি করবেন না। আপনার লাশের সঠিক সংখ্যা তুলে ধরুন এবং নিহত ও আহতদের যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিয়ে সহমর্মিতা প্রকাশ করুন।
আমার বার্তা/এল/এমই