ইংল্যান্ডের রানের বন্যায় ভেসে গেলো দক্ষিণ আফ্রিকা

প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৩৩ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

দলীয় সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩০৪ রান। স্কোরকার্ডে এই রান দেখলে যে কারো মনে হতে পারে, এটি ওয়ানডে অথবা টেস্ট ইনিংস। কিন্তু না। এটি একটি টি-টোয়েন্টি ইনিংস বা ২০ ওভারের ফরম্যাটেই ঘটেছে। শুক্রবার ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে তুলোধুনো করে এই স্কোর গড়েছে ইংল্যান্ড।

ইংলিশদের রানের বন্যায় রীতিমতো ভেসে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের ১৫৮ রানে অলআউট করে ১৪৬ রানের বিশাল জয় তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড। এতে সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরেছে তারা। অর্থাৎ রোববারের ম্যাচ পরিণত হলো অঘোষিত ফাইনালে।

৩০৪ রানের ইনিংসটি টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ইংল্যান্ডের। আর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় দল হিসেবে ৩০০ রানের গণ্ডি পার করলো ইংল্যান্ড।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ দলীয় স্কোরের রেকর্ড ৩৪৪ রানের। গাম্বিয়ার বিপক্ষে করেছিলো জিম্বাবুয়ে। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১৪ রান রয়েছে নেপালের। তারা এই রান করেছিল মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে।

৬০ বলে ১৪১ রানের ইনিংস খেলে দুটি রেকর্ড গড়েন ইংল্যান্ডের ফিল সল্ট। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন এই ইংলিশ ওপেনার। ৩৯ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। এর আগে ইংল্যান্ডের হয়ে ৪২ বলে দ্রুততম সেঞ্চুরি ছিল লিয়াম লিভিংস্টোনের।

শুধু দ্রুততম সেঞ্চুরিই করেননি। ফিল সল্ট হয়ে গেছেন ইংল্যান্ডের হয়ে টি-টোয়েন্টির এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রহ করা ব্যাটার। নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙলেন সল্ট। এর আগে ইংল্যান্ডের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ১১৯ রান ছিল তার। ২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। এরপর ২ বছর বিরতি দিয়ে আরও একটি বড় স্কোর গড়লেন তিনি। এবার অপরাজিত থাকলেন ১৪১ রান করে।

১৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন জস বাটলার। যদিও এটা ইংল্যান্ডের হয়ে দ্রুততম নয়। ১৬ বলে সবচেয়ে দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরির মালিক মঈন আলি। এরপর ১৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন লিয়াম লিভিংস্টোন।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ঝড় তোলেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার বাটলার ও ফিল সল্ট। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে তারা তোলেন ১০০ রান। যা টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ার প্লেতে তোলা তাদের সর্বোচ্চ রান। ৭.৫ ওভারে ১২৬ রানের জুটি গড়ে তোলেন তারা। এ সময় আউট হন বাটলার। ৩০ বলে ৮৩ রান করেন তিনি। ইনিংস সাজান ৮টি বাউন্ডারি ও ৭টি ছক্কা দিয়ে।

এরপর জ্যাকব বেথেলের ১৪ বলে ২৬ রানের ভর করে আরেকজটা বড় জুটি চেষ্টা করেন ফিল সল্ট। নিজে এরই মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরি করে ফেলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩০৪ রানে থোক ইংলিশদের ইনিংস। ৬০ বলে ১৪১ রানে অপরাজিত থাকেন সল্ট। ১৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৮ টি ছক্কার মার মারেন তিনি। ২১ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন হ্যারি ব্রুক।

৩০৫ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছিল। তবে দলীয় সংগ্রহ ৫০ রানে যেতেই আউট হয়ে যান ওপেনার রায়ান রিকেল্টন (১০ বলে ২০)। এরপর দলীয় ৭৭ রানেই ৪ উইকেট হারায় সফরকারীরা।

এদিন প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বোচ্চ ২০ বলে ৪১ রান করেন অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। ১৬ বলে ৩২ রান করেন জন ফরচুইন। ত্রিস্টান স্টাবস ২৫ ও ডোনোবান ফেরেইরা ১১ বলে ২৩ রান করে নেন।

ইংল্যান্ডের হয়ে ২৫ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন জোফরা আরচার। দুটি করে উইকেট নেন স্যাম কারেন ও লিয়াম ডোউসন।


আমার বার্তা/জেএইচ