দক্ষিণ আফ্রিকাকে লজ্জায় ডুবিয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়াল অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৫, ১৭:৪৩ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডে জিতে সিরিজ আগেই নিজেদের করে নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। অজিরা ধবলধোলাই এড়াতে পারে কি না, সেটাই ছিল দেখার। হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়া জ্বলে উঠল বারুদের মতো। ম্যাকের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ অ্যারেনাতে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে স্বাগতিকদের কাছে পাত্তাই পায়নি প্রোটিয়ারা।

সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে আজ প্রথম ইনিংসেই ম্যাচের ফল অনেকটা নির্ধারিত হয়ে যায়। প্রথমে ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ডে ৪৩১ রানের পাহাড় গড়ে অস্ট্রেলিয়া। ২০০৬ সালে অজিদের বিপক্ষে জোহানেসবার্গে সেই ৪৩৮ রান তাড়া করে জয়ের স্মৃতিরোমন্থন করে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটপ্রেমীরা তেমন কিছুই হয়তো আশা করছিলেন। কিন্তু ১৯ বছর পর অজিদের ধারেকাছে যাওয়া তো দূরে থাক, প্রোটিয়ারা অলআউট হয়েছে ১৫৫ রানে। শেষ ওয়ানডেতে ২৭৬ রানে জিতে ধবলধোলাই এড়িয়েছে অজিরা।

২৭৬ রানে হেরে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারের লজ্জা পেল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের এর আগে এমন লজ্জায় ডুবিয়েছিল ভারত। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে ভারতের কাছে প্রোটিয়ারা হেরেছিল ২৪৩ রানে। ওয়ানডেতে এই দুইবার ২০০ বা তার বেশি রানে হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

৪৩২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চোখে সর্ষেফুল দেখতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়ার আগুনে বোলিংয়ে ৮.১ ওভারে ৪ উইকেটে ৫০ রানে পরিণত হয় প্রোটিয়ারা। দল চাপে পড়লেও পাঁচ নম্বরে নামা ডেওয়াল্ড ব্রেভিস ঝড় তুলতে থাকেন। পঞ্চম উইকেটে ৩২ বলে ৫৭ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন ব্রেভিস ও টনি ডি জর্জি।

১৪তম ওভারের তৃতীয় বলে ডি জর্জিকে (৩৩) ফিরিয়ে বিস্ফোরক জুটি ভাঙেন কুপার কনোলি। প্রোটিয়া এই ব্যাটার ফিরতেই মড়ক লাগে তাদের ইনিংসে। ৪৮ রানে শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে ২৪.৫ ওভারে ১৫৫ রানে অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ২৫তম ওভারের পঞ্চম বলে অ্যাডাম জাম্পাকে রিভার্স সুইপ করতে যান কেওনা মাফাকা। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ডাইভ দিয়ে ট্রাভিস হেড দুর্দান্ত ক্যাচ ধরতেই শেষ প্রোটিয়াদের ইনিংস।

দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন ব্রেভিস। ২৮ বলের ইনিংসে ৫ ছক্কা ও ২ চার মেরেছেন। অস্ট্রেলিয়ার কুপার কনোলি ৬ ওভারে ২২ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে কনোলি ওয়ানডেতে এক ইনিংসে নিয়েছেন ৫ উইকেট। অজি এই বাঁহাতি স্পিনারের আজ বয়স ছিল ২২ বছর ২ দিন। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার এই কীর্তি ছিল ক্রেগ ম্যাকডারমটের। ১৯৮৭ সালে লাহোরে ২২ বছর ২০৪ দিন বয়সে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪৪ রানে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট।

ম্যাকেতে আজ সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক মিচেল মার্শ। তিন সেঞ্চুরি ও এক ফিফটিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২ উইকেটে ৪৩১ রান করে অজিরা। ১০৩ বলে ১৭ চার ও ৫ ছক্কায় ১৪২ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন ট্রাভিস হেড। ওয়ানডেতে এটা তাঁর সপ্তম সেঞ্চুরি। মার্শ ও ক্যামেরন গ্রিন করেন ১০০ ও ১১৮ রান। অ্যালেক্স ক্যারে করেন ৫০ রান। গ্রিন ও ক্যারে তৃতীয় উইকেটে ৮২ বলে ১৬৪ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন। গ্রিনের এটা ওয়ানডেতে প্রথম সেঞ্চুরি। দক্ষিণ আফ্রিকার সেনুরান মুথুসামি ও কেশব মহারাজ নিয়েছেন একটি করে উইকেট। সিরিজে ৬ উইকেট ও ৩৭ রান করে সিরিজসেরার পুরস্কার পেয়েছেন মহারাজ।


আমার বার্তা/এমই