জামাল-হামজা জুটি: মিডফিল্ড নিয়ে এক ‘মধুর যন্ত্রণা’য় বাংলাদেশ

প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৫, ১০:৪১ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

একজনের উপস্থিতি যেন বদলে দিলো পুরো বাংলাদেশ ফুটবলের চিত্রটা। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে যিনি ছিলেন নিয়মিত মুখ, যার হাতে উঠেছে প্রেস্টিজিয়াস এফএ কাপের শিরোপা, সেই হামজা চৌধুরী এখন প্রস্তুত বাংলাদেশের জার্সিতে মাঠে নামতে। গতকাল রাতেই যোগ দিয়েছেন টিম হোটেলে। ২৫ই মার্চ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে হতে পারে তার বাংলাদেশের অভিষেক।

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আরেক প্রবাসী ফুটবলার ফাহমিদুল ইসলাম বাদ পড়লেও হামজার থাকাটা প্রায় নিশ্চিত। এরইমাঝে জানিয়েছেন, মিডফিল্ডেই খেলতে চান তিনি। গায়ে জড়াতে চান বাংলাদেশ দলের ৮ নম্বর জার্সিটা। বোঝাই যাচ্ছে মিডফিল্ডে রাজত্ব করাটাই তার ইচ্ছে। তবে এখানেই খানিক সমস্যা হতে পারে বাংলাদেশ দলের জন্য। আর সেই ‘মধুর সমস্যা’ নিয়ে অবশ্য মন খারাপের অবকাশ নেই কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার জন্য।

ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ১১৫ ম্যাচে হামজা ছিলেন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। ৭২ ম্যাচে ছিলেন সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার। বর্তমানে নিজের ক্লাব শেফিল্ডে ডাবল পিভট রোলে ডিফেন্সিভ মিডেই দেখা যাচ্ছে তাকে। ৪ ম্যাচ খেলেছেন রাইটব্যাক হিসেবে। বাংলাদেশ দলে সাম্প্রতিক সময়ে হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা সাফল্য পাচ্ছেন ৪-৪-২ এর ডায়মন্ড ফর্মেশনে।

হামজা আসার আগে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে ছিলেন দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। জামাল-হামজার ডিফেন্সিভ জুটি বাংলাদেশের জন্য দারুণ কিছু উপহার দিতে পারে, তবে সেক্ষেত্রে আক্রমণে খানিক দূর্বলতা দেখা যাবে। ক্যাবরেরার অধীনে জামাল অবশ্য সেন্ট্রাল মিডে খেলেছেন। স্প্যানিশ কোচ ঠিক কাকে ডিফেন্সিভ মিডে রাখবেন আর কে খেলবেন সেন্ট্রাল মিডে, সেটাও দেখবার বিষয়।

জাতীয় দলে এখন জাতীয় দলে এখন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার আছেন আরও দুজন—পাপন সিংহ ও মোহাম্মদ হৃদয়। দুজনেই সাম্প্রতিক সময়ে আছেন ভালো ছন্দে। পাপন তো বাংলাদেশের সবশেষ ম্যাচে জয়সূচক গোলই করে বসেছেন।

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশ খানিক আগ্রাসী হতে চাইলে হামজা এবং জামাল দুজনকেই খেলাতে পারে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডারের ভূমিকায়। আবার অবসর ভেঙে ভারত দলে যোগ দেয়া সুনীল ছেত্রীকে আটকাতে চাইলে দুজনের একজন কিংবা দুজনকেই নামাতে পারেন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে। সেক্ষেত্রে হৃদয় এবং পাপনকে হয়ত দেখা যাবে না একাদশে। মিডফিল্ড নিয়ে এমন ‘মধুর যন্ত্রণা’য় বাংলাদেশ শেষ কবে পড়েছিল সেটাও তো এক বড় প্রশ্ন!


আমার বার্তা/জেএইচ