উইন্ডিজ সফরে নেই বাংলাদেশের কোচিং স্টাফের দুই সদস্য

প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৮ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে বিদায় করা হয়েছে সবার আগে। এবার হাত দেওয়া হয়েছে তাঁর রেখে যাওয়া কোচিং প্যানেলে। পারফরম্যান্স অ্যানালিস্ট মহসিন শেখের নিয়োগ বাতিল করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে খণ্ডকালীন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ভারতের অক্ষয় হিরমাথকে। টিম ম্যানেজমেন্টের পছন্দ হলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত নিয়োগ দেওয়া হতে পারে তাঁকে। ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্পকেও জাতীয় দল থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বাংলাদেশ টাইগার্স বা এইচপিতে কাজ দেওয়া হতে পারে তাঁকে। গতকাল বিসিবির একটি সূত্র জানায়, জাতীয় দলের কোচিং স্টাফে আরও পরিবর্তন আসতে পারে।

মহসিন শেখ পারফরম্যান্স অ্যানালিস্ট কোচ হিসেবে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ায় কাজ করেছেন। বেশ কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। ওয়ানডে বিশ্বকাপে ছিলেন আফগান দলে। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এ পাকিস্তানি বিসিবির চাকরিতে নিয়োগ পেয়েছিলেন হাথুরুসিংহের মাধ্যমে।

২০২৩ সালের বিশ্বকাপের পর শ্রীনিবাসন চন্দ্রশেখরের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন না করায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজে দেশি শাওন জাহান পারফরম্যান্স অ্যানালিস্টের দায়িত্ব পালন করেন। গত বছর ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ড সফরের জন্য খণ্ডকালীন নিয়োগ দেওয়া হয় মহসিন শেখকে। তাঁকে পরখ করে দেখার সিরিজ ছিল সেটি। হাথুরুসিংহে চাওয়ায় এ বছর এপ্রিলে দুই বছর মেয়াদে নিয়োগ দেওয়া হয় মহসিনকে। আট মাসের মাথায় চাকরি হারালেন তিনি। মহসিনকে বাদ দেওয়ার কারণ জানার জন্য বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদকে  ফোন দিয়ে পাওয়া যায়নি। সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরীও কোনো কিছু বলতে রাজি হননি।

ডেভিড হেম্প ছিলেন এইচপির প্রধান কোচ। সেখান থেকে তাঁকে জাতীয় দলে নেওয়া হয় সাবেক প্রধান কোচের পছন্দে। সহকারী কোচ হিসেবে নিয়োগ পাওয়া নিক পোথাস ব্যাটিং কোচের ভূমিকায় ছিলেন। নিউজিল্যান্ড সফর থেকে তাঁকে ফিল্ডিং কোচ করা হয়। সফরে হেম্প ছিলেন ব্যাটিং কোচের ভূমিকায়। মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজ দিয়ে দুই বছর মেয়াদে ব্যাটিং কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় তাঁকে। যদিও তাঁর কাজে খুব সন্তুষ্ট ছিলেন না ব্যাটাররা।

পাকিস্তান সফর বাদ দিলে টেস্ট, ওয়ানডে, টি২০ কোনো সংস্করণেই ব্যাটাররা ভালো করতে পারেননি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজেও চোখে পড়েছে ব্যাটিং ব্যর্থতা। ফলে তাঁর কাজে খুশি ছিলেন না বর্তমান প্রধান কোচ ফিল সিমন্স। সে কারণে জাতীয় দল থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে তাঁকে। বিসিবির একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘কোচদের চাকরি হয় বিসিবিতে। বোর্ড চাইলে যে কোনো জায়গায় তাঁকে কাজে লাগাতে পারে। হেম্পকে বাদ দেওয়া না হলে অন্য কোনো দলের সঙ্গে যুক্ত করা হবে।’ যদিও বিসিবিতে গুঞ্জন আছে, হেম্পকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হবে।

মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ নিয়োগ দেওয়া হয়। ক্রিকেটারদের ব্যাটিংটা দেখবেন তিনি। এ ছাড়া প্রধান কোচের সঙ্গে সমন্বয় করবেন। ফিল্ডিং কোচ দক্ষিণ আফ্রিকান নিক পোথাস, পেস বোলিং কোচ আন্দ্রে অ্যাডামসের ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। প্রধান কোচ ফিল সিমন্স মূলত কোচিং প্যানেল গোছাতে শুরু করেছেন বলে জানান বিসিবির একাধিক কর্মকর্তা।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর দীর্ঘ মেয়াদে নিয়োগ পেতে পারেন তিনি। সে ক্ষেত্রে দেশি-বিদেশি মিলিয়ে হতে পারে জাতীয় দলের কোচিং প্যানেল। ফিজিও বায়েজিদুল ইসলাম লম্বা সময় ধরে কাজ করছেন। ফিল্ডিং কোচও নেওয়া হতে পারে দেশের ভেতর থেকে। ফিটনেস ট্রেনার, পেস বোলিং ও স্পিন কোচ নিয়োগ দেওয়া হতে পারে বিদেশ থেকে। তবে প্রশ্ন উঠেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে এভাবে কোচিং প্যানেলে ব্যাপক রদবদল করার যৌক্তিকতা নিয়ে।


আমার বার্তা/জেএইচ