মেরিটাইম সেক্টরকে অস্থিতিশীল করতে প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে নানামুখী ষড়যন্ত্র
প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:২৯ | অনলাইন সংস্করণ
বিশেষ প্রতিবেদক:
সম্ভাবনার এক বিরাট ক্ষেত্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে মেরিটাইম বা সামুদ্রিক সেক্টর। মেরিন ক্যাডেটরা দেশি বিদেশি জাহাজে চাকরি করে বিপুলসংখ্যাক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে মেরিটাইম সেক্টরকে অস্থিতিশীল করে তুলতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে। ছাত্র-জনতার রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে কথিত বৈষম্যের খোড়া যুক্তিতে নৌ পরিবহন অধিদপ্তর, নৌ বাণিজ্য দপ্তর, চট্টগ্রাম বন্দর, মেরিন একাডেমিসমূহের গুরুত্বপূর্ণ পদে দেশপ্রেমিক নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদের হটাতে কূটকৌশল গ্রহণ করেছে স্বার্থান্বেষী একটি চক্র। গত সরকারের সুবিধাভোগী চক্রটি এখন ভোল পাল্টে মেরিনারদের আবেগকে পুঁজি করে পর্দার আড়াল থেকে ব্যাপক অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ এই অশুভ চক্রান্তের সঙ্গে বেশিরভাগ মেরিনারের কোন সম্পৃক্ততা নেই। এ ঘটনায় সাধারণ মেরিনারদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। সরেজমিনে অনুসন্ধানে মেরিন প্রশাসনকে ধ্বংসের অপচেষ্টার নেপথ্য কারণ উদঘাটন করা হয়েছে।
জানা যায়, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে মেরিটাইম শিক্ষা ও সুনীল অর্থনীতির নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি চট্টগ্রাম, পাবনা, বরিশাল, রংপুর, সিলেটসহ বিভিন্ন মেরিন ও ফিশারিজ একাডেমি থেকে দক্ষ ও যোগ্য মেরিন ক্যাডেট তৈরি হচ্ছে। দেশের দক্ষ নাবিকের সুযোগ আছে; হাতছানি দিচ্ছে। বিশ্বের উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন এবং আন্তর্জাতিক সমুদ্র পরিবহন ব্যবস্থার বিকাশ ও উন্নয়নে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সমুদ্রে বাংলাদেশের অধিকার, আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা, সমুদ্র আইন, সমুদ্রের গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা লাভের জন্য ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠছে মেরিটাইম শিক্ষা।
বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির বাইরেও ৭ থেকে ৮ হাজার মেরিনার বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি মেরিন একাডেমি থেকে পাস করছে। অনেক মেরিন ফিশারিজ একাডেমিও মেরিনার তৈরি করছে। দেশের মোট মেরিন অফিসারদের প্রায় শতকরা ২৫ শতাংশ চট্টগ্রামের জলদিয়াস্থ বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি থেকে পাস করা। তাঁরা জাতীয় পতাকাবাহী জাহাজ, বন্দর, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনসহ বিভিন্ন সংস্থায় চাকরি করে। বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ জাহাজ নির্মাণ, পরিচালনা, নৌ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন জায়গায় তাদের একচ্ছত্র আধিপত্য থাকায় অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করা মেরিনাররা সুযোগ লাভে বঞ্চিত হয়। অভিযোগ রয়েছে, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাদের কৌশলের করতলে অন্যসব প্রতিষ্ঠানের মেরিনাররা চাকরির সুযোগ পান না।
সাধারণত দেশে ও বিদেশে জাহাজ পরিচালনার উদ্দেশ্যে মেরিনারদের ভর্তুকির মাধ্যমে প্রশিক্ষিত করা হয়। চাকরিতে নির্ধারিত বয়সসীমা না থাকা সত্ত্বেও এসব মেরিনাররা অল্প কিছুদিন জাহাজে চাকরি করে। পরবর্তীতে দেশে ফিরে এসে বিভিন্ন সরকারি চাকরিতে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। কিন্তু মেরিনারদের অন্য একটি অংশ দেশে ফিরে বেসরকারি সেক্টরে বেশি বেতনের চাকরি খোঁজে। তাদের মাঝে মোটা দাগে সরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পারপাস সার্ভের প্রবণতা দেখা যায়। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, সাধারণত কোন মেরিনার সরকারি চাকরিতে নবম গ্রেডে না ঢুকে বেশ বয়সকালে ষষ্ঠ থেকে চতুর্থ গ্রেডে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করে।
এদিকে, সম্প্রতি ঢাকা ও চট্টগ্রামে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএমওএ)। সেখানে তাঁরা নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের বর্তমান মহাপরিচালককে প্রত্যাহার করে সেই পদে প্রাক্তন মাস্টার মেরিনার ক্যাপ্টেন শফিকুল্লাহকে নিয়োগের দাবি জানান। যদিও এই পদে ইতিপূর্বে তাঁরা নৌ বাণিজ্য দপ্তরের মুখ্য কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন সাব্বিরকেও মহাপরিচালক পদে পদায়নের জন্য বিভিন্ন মহলে পত্র পাঠায়। এছাড়াও বিভিন্ন বন্দরের চেয়ারম্যান, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে মেরিনার নিয়োগের দাবি জানিয়েছে।
সূত্র বলছে, বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএমওএ) এর এসব দাবি একেবারে অযৌক্তিক ও দেশের মেরিটাইম সেক্টরকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা। কারণ, স্বাধীনতার আগে থেকেই সরকারের এসব প্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমির কমান্ড্যান্টসহ বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসিতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদের পদায়ন স্বীকৃত বিষয়। পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই পদ্ধতি চালু রয়েছে। বাংলাদেশেও ৬০ ও ৭০’র দশকে এই ধারাবাহিকতা বজায় ছিল। এর ব্যত্যয় ঘটিয়ে অতীতে যখনই কোন চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মাধ্যমে মাস্টার মেরিনার বা মেরিনারদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তখনই এসব প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের প্রান্তসীমায় গিয়ে পৌঁছেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। মেরিনারদের থেকে এক সময় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন, বিভিন্ন বন্দর, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনে পদায়নের পর প্রতিষ্ঠানসমূহ রুগ্ন হয়ে পড়ে। এই খাতে আয় ব্যাপক হারে কমে যায়। এতে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়ে প্রতিষ্ঠানগুলো। বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ২০ এর অধিক জাহাজ থাকলেও এক সময় নেমে আসে শুন্যের কোঠায়। কিছু কিছু মেরিনার দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। যাদের মধ্যে নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের ৩ জন মেরিনারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা এখনও বিচারাধীন রয়েছে।
সঙ্কটময় পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে গণতান্ত্রিক বিভিন্ন সরকার ৯০ এর দশকের পর থেকে প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাভজনক করতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদের পদায়ন করে। নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদের শৃঙ্খলাবোধ ও দক্ষ নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানগুলো লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়। শুধু তাই নয়, জাহাজ নির্মাণ ও মেরামতে প্রায় ৬৫ থেকে ৭০ বছর আগে যাত্রা করা রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান-নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড, খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড ও চট্টগ্রাম ড্রাইডক লিমিটেড এক সময় লোকসানের মুখে পড়ে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। এরপর সরকার মৃতপ্রায় এসব প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেন। নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদের দক্ষ ব্যবস্থাপনায় এর পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে ডকইয়ার্ডগুলো লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। তাঁরা দেশীয় প্রযুক্তিতে যুদ্ধজাহাজ তৈরির মাধ্যমে নিজেদের সক্ষমতার বিষয়টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরেছে। এতে করে সেবাপ্রত্যাশী ছাড়াও এসব সংস্থায় কর্মরত বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সন্তুষ্ট। কিন্তু পুনরায় এসব প্রতিষ্ঠানসমূহে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় মেরিনারদের একাংশ আন্দোলনে নেমেছেন। তারা এসব প্রতিষ্ঠান থেকে নৌবাহিনীর অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের সরিয়ে নিজেরা বগলদাবা করতে ওঠেপড়ে লেগেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র জানায়, দেশের মেরিটাইম সেক্টরসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তর বা সংস্থার প্রধান পদটি প্রশাসনিক পদ। এটি টেকনিক্যাল বা কারিগরি পদ নয়। এসব প্রশাসনিক পদের জন্য ক্রয়, আর্থিক বিভিন্ন প্রশাসনিক বিধি বিধান জানা প্রয়োজন। বুনিয়াদি প্রশিক্ষণসহ নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা বিভিন্ন লেভেলের প্রশিক্ষণে এসব নিয়ম-কানুন আয়ত্ত করে থাকেন। সমুদ্র সীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষা, সমুদ্র নিরাপত্তা ও সমুদ্র সম্পদের সুরক্ষায় নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা কোস্ট গার্ড ও মেরিন সংস্থাসমূহের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে জাহাজ পরিচালনাসহ যুদ্ধ বিদ্যা ও মেরিটাইম সেক্টরের অনেক বিষয়াদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এসব বিষয়াদি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়ায় তারা মেরিটাইম সংস্থাসমূহের প্রধান হলে স্বভাবতই সংশ্লিষ্ট সংস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নৌবাহিনীর কর্মকর্তাগণ দক্ষ প্রশাসক হিসেবে ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সফলতার নজির স্থাপন করেছেন।
একই সূত্র জানায়, সমুদ্রগামী জাহাজের মেরিনারদের দেশের অর্থনীতিতে অবদান থাকলেও সরকারি প্রশাসনিক পদে পদায়নের বিষয়টি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তারা পেশাগতভাবে প্রশাসক হিসেবে নৌবাহিনীর অফিসারদের মতো দক্ষ ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হতে পারেন না। নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা মেরিন সংস্থাসমূহের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে আইএমও এর আওতাধীন বিভিন্ন বিষয়ে অধ্যয়ন ও কনভেনশনে অংশগ্রহণ করেন। তাঁরা মিরপুরস্থ সামরিক বাহিনী কমান্ড এন্ড স্টাফ কলেজ ও ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি) থেকে প্রশিক্ষণ ও ডিগ্রি অর্জন করেন। যেটি তাঁদের কর্মজীবনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
গোয়েন্দা সূত্র বলছে, শান্তিতে নোবেল জয়ী অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বভার গ্রহণের পর দাবি-দাওয়া আদায়ের হিড়িক পড়ে যায়। নার্স, পোশাক শ্রমিকসহ বিভিন্ন সংগঠন একের পর এক দাবি তুলে কর্মবিরতি পালন করে। সরকার ও দেশকে অস্থিতিশীল করার মাধ্যমে এবার দেশের মেরিটাইম সেক্টরের উদীয়মান সক্ষমতাকে ধ্বংস করতে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন’র ব্যানারে মেরিন ক্যাডেটদের একাংশ বিভিন্ন সংস্থা থেকে দেশপ্রেমিক নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদের সরাতে আন্দোলন শুরু করেছে। পতিত সরকারের সময়ে এসব সংগঠন কোন দাবি না জানিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে বসেছিলেন। তাঁরা ওই সময় বিভিন্ন সংগঠনের পদ-পদবিতে থেকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন। তখন তাঁরা টু শব্দটি করেননি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাঁরা সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে হীন অপপ্রয়াস নিয়েছে। তাদের কথামতো এসব পদ থেকে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেওয়া হলে এটি হবে আত্মঘাতী একটি সিদ্ধান্ত। এতে মেরিটাইম সেক্টরের উজ্জ্বল সম্ভাবনা বিনষ্ট হবে।
মেরিটাইম সেক্টরে দেশপ্রেমিক নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদের নেতৃত্বের সুফলের একটি দিক তুলে ধরে সূত্রটি বলছে, সম্প্রতি বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) মালিকানাধীন ‘এমটি বাংলার জ্যোতি’ ও ‘এমটি বাংলার সৌরভ’ নামের দুই জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের পর বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সুদক্ষ নেতৃত্বে কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ও নৌপরিবহন অধিদপ্তরের দ্রুত উদ্ধার কার্যক্রম সফল হওয়ায় বহু প্রাণক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা মিলেছে। ৪৮ নাবিকের মধ্যে ৪৭ জনকেই জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বড় রকমের প্রাণহানি ও বিপর্যয় প্রতিরোধে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদের দক্ষ নেতৃত্ব ও সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে এটি সম্ভব হয়েছে। দেশের অর্থনীতির ‘লাইফ লাইন’ চট্টগ্রাম বন্দরকে সম্ভাব্য অচলাবস্থার হুমকির বৃত্ত থেকে বের করে এনে পুরোমাত্রায় সচল রেখে এই প্রাজ্ঞ কর্মকর্তারা পুনরায় জানান দিয়েছেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনী দেশের যেকোনো বিপর্যয় মোকাবেলায় আস্থা ও সফলতার সঙ্গে সব সময় তাঁর দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এ ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে।
আমার বার্তা/এমই