পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২৫, ০১:০৬ | অনলাইন সংস্করণ

  জাহিদুল আলম,ঢাকা :

উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বুধবার বিকেলে রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ বিয়াম অডিটরিয়ামে দেওয়ানবাগীর দল ওলামা মিশন বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর ১৫০০তম শুভ জন্মদিন পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)-এর গুরুত্ব তুলে ধরে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি দেওয়ানবাগ শরীফের পরিচালক, সমন্বয়ক ও মোহাম্মদী ইসলামের নেত্বত্ব প্রদানকারী ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ  খোদা (মা. আ.)  হুজুর বলেন, হযরত রাসুল (সা.)-এর শুভজন্ম এবং ওফাত একই তারিখে নয়। হযরত রাসুল (সা.) বিদায় হজের ৮১ দিন পর ওফাত লাভ করেন। সেই দিনটি ছিল ১লা রবিউল আউয়াল। হযরত রাসুল (সা.)  ১২ই রবিউল আউয়াল সোমবার জন্মগ্রহণ করেন, আবার ৬৩ বছর পর ১লা রবিউল আউয়াল সোমবার ওফাত লাভ করেন। কিন্তু সমাজে প্রচলিত আছে হযরত রাসুল (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত দিবস একই তারিখে হয়েছে। ফলে হযরত রাসুল (সা.)-এর শুভ জন্মদিন অবারিত রহমত ও বরকত হওয়া সত্ত্বেও মুসলিম জাহান ওই দিবসে আনন্দ করতে না পেরে রহমত থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে মহান সংস্কারক হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.) পবিত্র কুরআন, হাদিস ও ঐতিহাসিক তথ্য দিয়ে প্রমাণ করতে সক্ষম হন যে, হযরত রাসুল (সা.)-এর ওফাত দিবস ১লা রবিউল আউয়াল।

এই আলোচনা সভায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাঁচ শতাধিক ওলামায়ে কেরাম যোগদান করেন।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.)-এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে ওলামায়ে কেরাম বলেন, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) হচ্ছে সৃষ্টিকুলের সবচেয়ে বড় ঈদ। প্রকৃতপক্ষে ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) শুধুমাত্র মুসলিম জাতির জন্য নয়, বরং সমগ্র সৃষ্টি তথা কুল কায়েনাতের জন্য আনন্দের দিন। হযরত রাসুল (সা.)-এর শুভ জন্ম দিনে যারা খুশি হন, মহান আল্লাহ্ তাদের ক্ষমা করে দেন। অনুষ্ঠানে ওলামায়ে কেরাম সবাইকে ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) উপলক্ষ্যে আনন্দোৎসব করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য প্রদান করেন হযরতুল আল্লাম মুহাদ্দেছ এমরান হোসাইন মাজহারী, হযরত আলহাজ সাব্বীর আহমদ ওসমানী, হযরত মুফতি রফিকুল ইসলাম, মোফাচ্ছেরে কোরআন হযরত ফখরুদ্দীন রাজী, হযরত রুহুল আমিন কুদ্দুসী, হযরত মাহবুবুর রহমান আজাদী, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. পিয়ার মোহাম্মদ, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মো. আবদুল আজিজ খলিফা প্রমুখ। বক্তারা দেশবাসীর সবাইকে মহাধুমধামের সাথে এই ঈদ উদযাপনের আহ্বান জানান।
 
প্রধান অতিথি ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ  খোদা (মা. আ.) হুজুর তাঁর মূল্যবান ভাষণ প্রদান করে বিশ্ববাসীর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে আখেরি মুনাজাত পরিচালনা করেন।