ঋণ থাকলে কোরবানি দেওয়া যাবে কি না; ধর্মীয় দৃষ্টিকোন

প্রকাশ : ২৭ মে ২০২৫, ১৫:৩১ | অনলাইন সংস্করণ

  এইচ এম গোলাম কিবরিয়া রাকিব:

কোরবানির বিধানে আছে আত্মত্যাগের ঐতিহাসিক মহিমা। মহান আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হযরত ইবরাহিম (আ.) ও তার শিশুপুত্র ইসমাইল (আ.)-এর আত্মবিসর্জন কেয়ামত পর্যন্ত প্রতিটি মুমিনের জন্য এক অনন্য শিক্ষা।

কোরবানি প্রত্যেক সামর্থ্যবান নরনারীর জন্য ওয়াজিব। যাকাত এবং কোরবানির জন্য নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকা জরুরি। তবে যাকাত আদায়ের জন্য সম্পদ পুরো এক বছর থাকা আবশ্যক। কিন্তু কোরবানির নিসাবের ক্ষেত্রে বছর অতিক্রম করা শর্ত নয়। বরং জিলহজের ১০ তারিখ ফজর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের মধ্যে যেকোনো সময় নিসাবের মালিক হলে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে। বছর অতিক্রম হয়েছে কি হয়নি; তা দেখা হবে না। (আহসানুল ফাতাওয়া: ৭/৫০৬)

এখন প্রশ্ন হলো, যে ব্যক্তি ঋণগ্রস্ত, তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব কি না। ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী, নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক যদি কোরবানির দিনগুলোতে সাময়িক ঋণগ্রস্ত থাকেন, যা পরিশোধ করে দিলে তার কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নিসাব পরিমাণ সম্পদ বাকি থাকে না, তাহলে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে না। আর যদি ঋণ আদায় করে দিলেও নিসাব পরিমাণ সম্পদ বাকি থাকে তাহলে তার ‍ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে। (বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯২)

কতটুকু সম্পদ থাকলে কোরবানি দিতে হয়?কতটুকু সম্পদ থাকলে কোরবানি দিতে হয়?

কোরবানির নিসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য পণ্য হলো: টাকা-পয়সা, সোনা-রুপা, অলংকার, বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না- এমন জমি, প্রয়োজনের অতিরিক্ত বাড়ি-গাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সব আসবাবপত্র।


লেখক : খতিব, টিভি উপস্থাপক, কুমিল্লা জিলা মাদরাসা।


আমার বার্তা/এইচ এম গোলাম কিবরিয়া রাকিব/এমই