যে কাজে আল্লাহ ভালোবাসবেন, মানুষেরও প্রিয় হওয়া যাবে
প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:৪৯ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:
আল্লাহ তায়ালার প্রিয় হওয়ার বিভিন্ন আমল রয়েছে। হাদিসে একাধিক আমল বর্ণিত হয়েছে, যে আমলের প্রতি যত্নশীল হলে আল্লাহ তায়ালা ভালোবাসেন, বান্দার ওপর সন্তুষ্ট হন। তার জন্য পরকালের নেয়ামত ও পুরস্কার প্রস্তুত রাখেন।
হাদিসে বর্ণিত আল্লাহর প্রিয় হওয়ার আমলগুলো মধ্যে একটি হলো দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি এবং আল্লাহ তায়ালা মানুষকে যা দান করেছেন তা নিজের কাছে না থাকলে এর জন্য কষ্ট না পাওয়া এবং এর প্রতি লোভী না হওয়া। এই গুণটি মানুষকে শুধু আল্লাহর কাছে প্রিয় করে না বরং অন্যদের কাছেও ভালোবাসার পাত্র হিসেবে গড়ে তোলে।
এ বিষয়ে এক হাদিসে হজরত সাহল বিন সাদ আস-সাঈদী রা. থেকে বর্ণিত—
এক ব্যক্তি নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে এমন একটি কাজের কথা বলে দিন যা আমি করলে আল্লাহ আমাকে ভালোবাসবেন এবং লোকেরাও আমাকে ভালোবাসবেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তুমি দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি অবলম্বন করো। তাহলে আল্লাহ তোমাকে ভালোবাসবেন। মানুষের নিকট যা আছে, তুমি তার প্রতি অনাসক্ত হয়ে যাও, তাহলে তারাও তোমাকে ভালোবাসবে। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪১০২)
>> আল্লাহর প্রিয় দুই বাক্য
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘দুইটি বাক্য এমন রয়েছে— যা বলা সহজ ও আমলের পাল্লায় অনেক ভারী। আর আল্লাহর কাছেও অধিক পছন্দনীয়। সেটি হলো- সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৪০৬)
আরবি :
سُبْحانَ اللَّهِ وبِحَمْدِهِ، سُبْحانَ اللَّهِ العَظِيمِ
উচ্চারণ : সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আজিম।
অর্থ : মহান সেই আল্লাহ এবং তারই সকল প্রশংসা। মহান সেই আল্লাহ যিনি সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী।
আমার বার্তা/এমই