ভোট কেন্দ্রে আমাদের এতিমের মতো দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে: আবিদ

প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:২৯ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সহ–সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান। 

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমরা যখন বিভিন্ন ভোগ কেন্দ্রে গিয়েছি, আমাদের এতিমের মতো দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। আমাদের সময় নষ্ট করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রোকেয়া হলের এক মেয়ে হলের ভোট কেন্দ্র থেকে বের হয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ করেন, ভাই আমাদের যে ব্যালোটপেপার দেওয়া হয়েছে তাতে আগে থেকে সাদিক কায়েম ও এস এম ফরহাদের নামে ক্রস চিহ্ন দেওয়া ছিল। এটা শুধু রোকেয়া হলের ক্ষেত্রে হয়নি। এমন ঘটনা অমর একুশে হলের ভোট কেন্দ্রেও হয়েছে। পরে আমি যখন কেন্দ্রের চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে অনুসন্ধান করতে গেলাম, জানার চেষ্টা করলাম তখন তারা জানালেন-এটা কিভাবে হয়েছে তারা জানেন না। সুতরাং দুইটা কেন্দ্রে যেহেতু প্রমাণ পেয়েছি সেহেতু অন্য জায়গায়ও হতে পারে। আমরা জানি না কত ব্যালোটে এমন করা হয়েছে, আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি এখনও। তবে দুইটো কেন্দ্রে প্রমাণ পাওয়ায় বুঝছি না, আগে থেকে এ রকম কত ব্যালোটে চিহ্ন দিয়ে ব্যালোট বক্স ভরে রাখা হয়েছে।

ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেন, আপনারা ভোটে কারচুপি করলেন, শেষে উল্টো দায় চাপানোর চেষ্টা করলেন। পুলিশও ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীদের হয়রানি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। 

ভিপি প্রার্থী আবিদ বলেন, ‘সকালে আমরা যখন ভোটারদের ব্যালোট নাম্বার দিচ্ছিলাম তখনও প্রতিটা কেন্দ্রে কেন্দে বাঁধা দেওয়া হয়েছে। আমরা তো কেন্দ্রের ১০০ মিটার দূরে অবস্থান করে ব্যালোট নাম্বার দিচ্ছিলাম। বাঁধা দেওয়ার বিষয়টি কোনোভাবে মেনে নেওয়ার মতো নয়। 

ক্যাম্পাসজুড়ে বহিরাগতদের ছড়াছড়ি ছিল দাবি করে আবিদ বলেন, আমি আশ্চর্য হয়েছি যখন জানতে চাইলাম কোথা থেকে এসেছেন? তারা বললেন-কুড়িগ্রাম থেকে এসেছি, আবার কেউ বলেছেন-আমি এ এলাকার নেতা। আমি দেখেছি, জামায়াতের বহু নেতা পাশের নামে ক্যাম্পাসে ঘুরে বেরিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও প্রক্টর আমাদের পোলিং এজেন্ট দিতে নানান প্রতারণা করেছেন। আর নিরাপত্তা পাশের নামে আপনারা জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের এই ক্যাম্পাসে ঠাঁই দিয়েছেন। এটা কোনোভাবেই বরদাস্ত করার মতো নয়।

 


আমার বার্তা/এমই