জুলাই সনদের খসড়ায় অসত্য তথ্য আছে: সালাহউদ্দিন আহমদ

প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৫, ১৫:২৩ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়ার সূচনা ও ২, ৩, ৪ দফা নিয়ে আপত্তি আছে বিএনপির। সূচনায় অসত্য তথ্য দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) গুলশানের নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।

সালাহউদ্দিন বলেন, কিছু কিছু বিষয় আলোচনা না হলেও তা জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আবার কিছু বিষয়ে সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয়নি। সবকিছু পর্যালোচনা করে কমিশনের কাছে বিএনপি তাদের মতামত দেবে। আগামী সংসদ গঠনের দুই বছরের মধ্যে সংবিধান সংশোধনের যে কথা ছিল, তা খসড়ায় উল্লেখ করা হয়নি।

তিনি বলেন, জুলাই সনদে উত্থাপিত ৮৪ দফার মধ্যে যেসব দফায় রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়ন কীভাবে হবে, যেসব বিষয়ে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ আছে সেগুলোর সুরাহা কীভাবে হবে এবং সংবিধান সংস্কার-সংক্রান্ত যেসব বিষয় এসেছে তা বাস্তবায়ন কীভাবে হবে—এখন সেটিই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো পর্যালোচনা করে কমিশনকে মতামত জানাবে বিএনপি।

তিনি আরও বলেন, জুলাই সনদে সংবিধান সংশোধনের বিষয়টি থাকলেও অনেক ইস্যু অধ্যাদেশ বা নির্বাহী আদেশে বাস্তবায়নযোগ্য। তবে সংবিধান সংশোধন এবং ঐকমত্য হওয়া সব বিষয় আগামী সংসদ তাদের মেয়াদের প্রথম দুই বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে—এমন অঙ্গীকার থাকা উচিত ছিল।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আগের সনদে উল্লেখ ছিল নির্বাচিত সংসদ দুই বছরের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করবে, কিন্তু নতুন খসড়ায় তা নেই। এছাড়া দ্বিতীয় দফার আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে অঙ্গীকারনামায় সনদকে সংবিধানের ঊর্ধ্বে রাখা হয়েছে। কিন্তু কোনো ডকুমেন্ট সংবিধানের ঊর্ধ্বে হতে পারে না। যদি সনদ সংবিধানের ঊর্ধ্বে রাখা হয়, তা হলে ভবিষ্যতের জন্য খারাপ নজির তৈরি হবে। এ ছাড়া সনদ নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না—এমন ধারা সঠিক হয়নি।

এ সময় নির্বাচন প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন কমিশনকে ইতোমধ্যে চিঠি দিয়েছেন। কমিশনের প্রস্তুতিও প্রায় শেষ পর্যায়ে। গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা দৃঢ়ভাবে এ বিষয়ে অবস্থান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, এ নিয়ে আমাদের কোনো সংশয় নেই। যারা মাঠে গিয়ে নির্বাচনী কৌশল হিসেবে বিভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন তারা হয়তো ভিন্ন পক্ষকে চাপে রাখার জন্যই এসব বলছেন। এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।


আমার বার্তা/এমই