দেশের ওষুধ শিল্পে সংকট-ঝুঁকি নিয়ে ফখরুলের উদ্বেগ

প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০২৫, ১৩:০০ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

দেশের সম্ভাবনাময় ওষুধ শিল্পে সরকার কিছু অস্বচ্ছ ও একপেশে নীতি গ্রহণ করায় খাতটিতে সংকট ও ঝুঁকি তৈরি হয়েছে বলে উদ্বেগ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (১৩ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এই উদ্বেগ জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প অভ্যন্তরীণ চাহিদা প্রায় শতভাগ পূরণ করছে এবং ১৬০টিরও বেশি দেশে মানসম্পন্ন ওষুধ রপ্তানি করছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া—সবখানেই বাংলাদেশের ওষুধ যাচ্ছে। এপিআই (অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রিডিয়েন্ট) উৎপাদনেও শিল্পখাত বিশেষ সক্ষমতা অর্জনের পথে।

তিনি দাবি করেন, বিএনপির শাসনামলে এ খাতের উন্নয়নে নানা ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। ১৯৯৪ সালে ওষুধের প্রাইসিং পলিসি প্রণয়ন, ২০০২ সালে জাতীয় ঔষধ নীতি হালনাগাদ, ২০০৩ সালে ঔষধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ শক্তিশালীকরণ, ট্রিপস ছাড়ের সুযোগ কাজে লাগানো, নতুন ওষুধ নিবন্ধন, রপ্তানি প্রণোদনা, গবেষণা ও দক্ষ জনবল তৈরিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি—এসব উদ্যোগ শিল্পে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল।

বিএনপি সহাসচিব বলেন, সম্প্রতি সরকার গঠিত ঔষধ নিয়ন্ত্রণ কমিটি, অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ প্রাপ্যতা নিশ্চিতকরণে গঠিত টাস্কফোর্স কমিটি ও ড্রাগ কন্ট্রোল কমিটির টেকনিক্যাল সাবকমিটিতে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি। বিএনপি বিশ্বাস করে—নীতি প্রণয়ন, নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়নে স্বচ্ছতা এবং অংশগ্রহণমূলক সিদ্ধান্ত জরুরি। শিল্প উদ্যোক্তাদের বাদ দিয়ে কমিটি গঠন দেশের স্বার্থে হবে না।

তিনি বলেন, প্রায় দুই বছর ধরে নতুন কোনো ওষুধের নিবন্ধন দেওয়া হয়নি, ওষুধের মূল্য সমন্বয়ও করা হয়নি। নতুন ওষুধের নিবন্ধন না হলে বাংলাদেশ ট্রিপস ওয়েভার হারাতে বসবে। ২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার আগে দ্রুত নিবন্ধন দেওয়া প্রয়োজন।

ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প এখন একটি কৌশলগত জাতীয় সম্পদে পরিণত হয়েছে। এর সুরক্ষা ও উন্নয়নে সময়োপযোগী ও দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি। সরকার, বেসরকারি খাত, উদ্যোক্তা, বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের সমন্বয়ে এই শিল্পকে আরও এগিয়ে নিতে হবে।

বিএনপি আশা করছে, উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে শিল্পবান্ধব সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে সরকার এই খাতের স্থিতিশীলতা ও সুনাম অক্ষুণ্ন রাখবে।


আমার বার্তা/জেএইচ