দুপুরের মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করুন: শফিকুল ইসলাম

প্রকাশ : ০৯ মে ২০২৫, ০৯:৫৭ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে জামায়াতের ঢাকা দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ

দুপুরের মধ্যে সব রাজনৈতিক দলকে ডেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন জামায়াতের ঢাকা দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

তিনি বলেন, আমরা আজ দুপুর পার করতে চাই না। অবিলম্বে সকল রাজনৈতিক দলমতকে নির্বিশেষে ডেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান আপনাদের সালাম দিয়েছেন। আমরা আশা করি এই সরকার ছাত্র-জনতার দাবি পূরণ করবে।

আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করা ও দলটি নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়েছে ছাত্র-জনতা। শুক্রবার (৯ মে) সকালে ৮টার দিকে এতে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন ড. শফিকুল ইসলাম।

সমাবেশে জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য মো. দেলোয়ার হোসেনসহ ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা এখানে উপস্থিত আছেন।

ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু ৫ আগস্ট গণহত্যা করেনি, তারা ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর গণহত্যা করেছে, ২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে শাপলা চত্বরে গণহত্যা করেছে, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি আমাদের চৌকস ৫৭ সেনা অফিসারকে হত্যা করেছে। ২০১৩ সালে মাওলানা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর রায়কে কেন্দ্র করে ২৫০ এর বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। ২০২১ সালে নরেন্দ্র মোদীকে আনার জন্য ২৫ জনকে হত্যা করেছিল আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, শত শত নয়, হাজার-হাজার ভাইকে হত্যাকারী আওয়ামী লীগকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পতনের পর জনমানুষের দাবি ছিল তাদের নিষিদ্ধ করা। এই দাবি শুধু কোনো রাজনৈতিক দল বা ছাত্রদের নয়, এটি সারাদেশের সকল দেশপ্রেমিক মানুষের দাবি।

ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, আজ বাংলাদেশ দাবি করেছে আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের। দেশ যখন দাবি তুলেছিল আওয়ামী লীগের পতন হতে হবে, এতে শুধু পতন হয়নি তারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। এমনকি গতকাল ও এর আগের দিনও তারা পালানো অব্যাহত রয়েছে। কেউ কেউ তাদের পালিয়ে যাওয়ার সহযোগিতা করছে এবং আজ যখন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি উঠেছে এই গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে থামাতে ডানে-বামে থেকে আমাদের আটকানোর চেষ্টা করছে। আপনাদের মনে রাখা উচিত ৫ আগস্ট যারা স্বাধীনতা এনেছে, তারাই আজ এখানে আন্দোলনে এসেছে। তারা দাবি আদায় না করে এখান থেকে যাবে না।


আমার বার্তা/এমই