দুই উপদেষ্টার এপিএসের দুর্নীতির কথা শুনলে হাসিনাও বিস্মিত হবেন
প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:০২ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

ছাত্রদের কাজ মন্ত্রণালয়ে নয়, তাদের ঠিকানা ক্যাম্পাস মন্তব্য করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ছাত্র সংগঠনের কমিটি দেওয়া হচ্ছে, এতে তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। সমাজের কিছু সুবিধাভোগী শ্রেণি ছাত্রদের বিপথে পরিচালিত করছে, প্রলোভনে ফেলছে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘ফ্যাসিবাদের মিথ্যা মামলায় ৬০ লাখ আসামি, মুক্তি কতদূর’ শীর্ষক এক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দুই উপদেষ্টার সহকারী একান্ত সচিবের (এপিএস) দুর্নীতির কাহিনি শুনলে শেখ হাসিনাও বিস্ময়ে তিনবার ডিগবাজি খেতে পারেন উল্লেখ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, হয়তো শেখ হাসিনাও বলতেন- তোমরা আমাদের বলো- এখন দেখো কী অবস্থা!
তিনি বলেন, ছাত্রদের আন্দোলনের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে। কিন্তু ছাত্ররা ভালো করতেন যদি তারা রাষ্ট্রের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে সোচ্চার থাকতেন। কারণ অনেক অনাচার ঘটে গেছে রাষ্ট্রের মধ্যে। সেটাকে ঠিক করার জন্য ছাত্রদের কণ্ঠের শক্তি আরো তীব্র করার দরকার ছিল। যখন তারা ক্ষমতার অংশ হয়েছেন তখন তাদের আরো সতর্ক থাকা উচিত ছিল। কেন তাদের এপিএসের নামে শতকোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ আসবে? কেন তাদের বিরুদ্ধে বদলি বাণিজ্যের অভিযোগ উঠবে?
আলোচনায় শেখ হাসিনার সমালোচনা করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা গর্ব করে বলেন তার পিয়ন হেলিকপ্টার ছাড়া বাড়িতে যায় না। একথা বলে তিনি দুঃখ বা আফসোস করেন না, ভেতরে ভেতরে তিনি গর্ববোধ করেন। হাসিনার ঘনিষ্ঠ এস আলম তার বাড়ির একজন কাজের লোকের নামে তার লুট করে নেওয়া একটি ব্যাংক থেকে ২ থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছিল।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, হাসিনা দেশে থেকে কী করেছিলেন- তিনি দেশটিকে একেবারে লুট করে নিয়ে গেছেন। দেশের অধিকাংশ টাকাই পাচার হয়েছে। কিছু টাকা হয়তো এখনও রয়ে গেছে। সেই লুট করা টাকা তারা নানাভাবে দেশের বিরুদ্ধে খরচ করছে।
রিজভী অভিযোগ করেন, আদালত শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট হতে সহায়তা করেছেন। ফ্যাসিবাদের বিচারকদের বিচার হতে হবে। হিটলারের সহযোগী বিচারকদের যদি বিচার হতে পারে শেখ হাসিনার সহযোগী বিচারকদের কেনো হবে না। অধিকাংশ উপদেষ্টার দুর্নীতির সাথে সম্পর্ক নেই কিন্তু কারো কারো বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তা সত্য। ডিসেম্বর থেকে জুন, সরকার নির্বাচন নিয়ে কেনো দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে মানুষকে ঘোরাচ্ছেন তা নিয়েও প্রশ্ন।
আমার বার্তা/এমই