সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ ১৬ ডিসেম্বর রাজপথে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে তথ্য ছড়িয়েছে, তা ভুয়া বলে জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়ে তিনি লেখেন, সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে আমার উদ্ধৃতি দিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে, আমি ১৬ ডিসেম্বর রাজপথে আন্দোলনের ডাক দিয়েছি। এগুলো সব ফেইক নিউজ। আমি আমার আগের অবস্থানেই আছি।
তিনি লেখেন, আমি লক্ষ্য করছি যে, একটা রাজনৈতিক দল তার কোনো ভুল-ত্রুটি নিয়ে অনুশোচনা তো দূরের কথা, কোনো আত্মসমালোচনা বা আত্মউপলব্ধিও করছে না। এটা ভাল লক্ষণ না এবং কোনোদিনই সুফল আনবে না। বরং আরও ধ্বংস নিয়ে আসবে।
তিনি আরও লেখেন, আপনারা যারা কমেন্ট করছেন যে, আমি আমার নীতি এবং আদর্শ থেকে সরে গেছি, তাদের বলব- সেই আদর্শ/নীতি যদি হয় হত্যা, গুম, খুন ও নির্যাতনের, ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করে গণহত্যার, জনগণের ভোটের অধিকারসহ মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্র ধ্বংস করার, দুর্নীতি করে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করার, রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার, তাহলে ঠিকই বলেছেন এই নীতি/আদর্শ আমার না।
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সোহেল তাজ ২০০১ সালের নির্বাচনে গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তখন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। এরপর ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে একই আসন থেকে নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালের ৯ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। পরে একই বছরের ৩১ মে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন সোহেল তাজ।
এরপর ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিল সংসদ সদস্য পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তিনি। কিন্তু ওই সময় প্রক্রিয়াগত কারণে পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা না হলেও একই বছরের ৭ জুলাই ফের পদত্যাগপত্র পেশ করেন। তখন পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয় সোহেল তাজের।