রাজধানীতে ছাত্রদল ও যুবদলের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতার মৃত্যু

প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:২৩ | অনলাইন সংস্করণ

  এম রানা:

রাজধানীর হাজারীবাগে ছাত্রদল ও যুবদলের সংঘর্ষে আহত জিয়াউর রহমান জিয়া (৪০) নামে সাবেক যুবদল নেতার  চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।

জিয়া ১৫/১২ হাজারীবাগ ভাগলপুর লেনের হাজী আফতাব উদ্দিন এর ছেলে। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে সে ছিল সবার ছোট।

বুধবার (২০ নভেম্বর) ভোরের দিকে ঢামেকের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।গত(১৫ নভেম্বর) হাজারীবাগের এনায়েতগঞ্জে এই ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের বড় ভাই মোহাম্মদ সায়েম বলেন, আমার ছোট ভাইকে ছাত্রদলের ক্যাডার সুমন ও জনিসহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি আমার ছোট ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই।কেন আপনার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ভাইগ্নার বন্ধুকে তারা আটকে রাখছিল পরে আমার ভাইগ্না সেখানে গেলে আমার ভাগনা কে তারা মারপিট করে। কেন তারা আমার ভাইনাকে মারছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা আক্রমণ করে আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করে।

নিহতের ভগ্নিপতি  জামিল উদ্দিন তারা জানান,আমার শ‍্যালক জাতীয়তাবাদী যুব দলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন।গত(১৫ নভেম্বর) এনায়েতগঞ্জের একটি মিলাদ মাহফিল শেষ করে বাসায় ফেরার পথে সুমন, বিল্লাল, রিপন, মাসুদসহ আমার শ‍্যালককে কুপিয়ে গুরুতর যখম করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোর রাতের দিকে মারা সে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক মো এনাম নাম বলেন, এই ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদেরকে অতি দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। সে সব সময় ন্যায়ের পক্ষে ছিল এবং অন্যায় দেখলে সে প্রতিবাদ করত।সে আমাদের সাথে রাজপথের সহযোদ্ধা ছিলেন। আমরা জাতীয়তাবাদী যুবদলের পক্ষ থেকে এই হত্যাকাণ্ডে তীব্র নিন্দা জানাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে  হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, গত ১৫ নভেম্বর হাজারীবাগ এলাকায় একটি মারামারি হয়। এই ঘটনায় হাজারীবাগ থানা একটি মামলা হয়। এখন নতুন করে কোন মামলা নেওয়ার দরকার নেই। ওই মামলায় একটি ধারা ৩০২ যুক্ত হবে বলে জানান তিনি।


আমার বার্তা/এমই