সরকার বিরোধী দলের দুই হাজার নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে: ফখরুল

প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২৪, ১৭:৫৯ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক:

কয়েক দিনে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী দলের অন্তত ২ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (২৪ জুলাই) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
 
তিনি অভিযোগ করে বলেছেন, শুধু বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীরাই নয়, প্রতিবন্ধী শিশু, পথচারী এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এতে কোটাবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জড়িয়ে সরকারের মন্ত্রী ও প্রজাতন্ত্রের কিছু কর্মকর্তার বক্তব্যকে ‘ঘৃণা মিথ্যাচার’ আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল এর প্রতিবাদ জানান।
 
মির্জা ফখরুল বিবৃতিতে গত কয়েকদিনে গ্রেপ্তার বিএনপির কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের নিন্দা জানান। অবিলম্বে তাদের মুক্তিও দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব।
 
বিবৃতিতে তিনি বলেন, কোটা বিরোধী আন্দোলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দিয়ে বানোয়াট ও চরম মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। নিজেদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অন্যের ঘাড়ে চাপাতে ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকারের এটি একটি নোংরা অপকৌশল ও ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।
 
‘অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার সন্ত্রাস চালিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করার মাধ্যমে তা মেরামতের নামে দুর্নীতির রাস্তা প্রশস্ত করছে বলে জনগণ মনে করে,’ বলেন তিনি।

সরকার এখন নিজেদের দ্বারা সংঘটিত সন্ত্রাস ধামাচাপা দিতে বিদেশিদের কাছে মায়াকান্না শুরু করেছে এমন দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সারাদেশে বিএনপিসহ বিরোধী দল ও সাধারণ মানুষ যাদেরকে গ্রেপ্তার তারা হচ্ছে তারা কেউই শিক্ষার্থীদের কোটা বিরোধী আন্দোলনের সাথে জড়িত নয়। অসংখ্য শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে হতাহতের পর ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকার দেশের মানুষের ভাবমূর্তি বিদেশিদের কাছে ক্ষুণ্ন করার অপতৎপরতা শুরু করেছে।

ফখরুল বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিরীহ শিক্ষার্থীদেরকে হত্যার দায় থেকে মুক্তি পেতে আওয়ামী সরকারের মন্ত্রী-নেতা ও প্রজাতন্ত্রের কিছু কর্মকর্তা বানোয়াট ও কাল্পনিক বক্তব্য প্রদান করার মাধ্যমে চলমান ঘটনাকে আড়াল ও ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে তারেক রহমানের ভাবমূর্তি নষ্টের চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
 
তিনি অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের যৌক্তিক আন্দোলনে দেড় শতাধিক ছাত্র-জনতাকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যায় পর দোষীদের আইনের আওতায় না এসে নির্দোষদের ওপর জুলুমের খড়গ চালানো হচ্ছে। হত্যাকারী ও হামলাকারীদের অবিলম্বে আইনের মুখোমুখি দাঁড় করার জন্য আমি জোর আহ্বান জানাচ্ছি।
 
ফখরুল বলেন, নিত্যপণ্যের মূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতি এবং গণবিরোধী সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনে জর্জরিত মানুষ আর এক মুহূর্তের জন্য আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায় না।

পরিকল্পিতভাবে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও কারফিউ জারির মাধ্যমে সরকার দেশের জনগণের সঙ্গে অঘোষিত যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। বিএনপি সবসময়ই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সংগ্রামে বিশ্বাসী, এই দলটি গণতন্ত্র ও জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।

সরকারের দমন-পীড়ন সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও পরিষ্কার হয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।

 

আমার বার্তা/এমই