বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত দ্বন্দ্ব ও সেভেন সিস্টার
প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৬ | অনলাইন সংস্করণ
সাদিয়া সুলতানা রিমি
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ক্রমাগত অবনতির দিকে যাচ্ছে এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো, গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতনকে ভারতের পক্ষে মেনে নেওয়া কঠিন হয়ে গেছে। ফলে বিগত ১৬ বছরে দুই দেশের মধ্যে তথাকথিত বন্ধুত্বের যেসব উপাদান বিদ্যমান ছিল, এখন তার অধিকাংশই অনুপস্থিত। শেখ হাসিনার আকস্মিক পতন ভারতের জন্য একটি বড় ধরনের ধাক্কা। বিগত বছরগুলোতে ভারতের বাংলাদেশবিষয়ক পররাষ্ট্রনীতির গতিপ্রকৃতি আওয়ামী লীগকে ঘিরেই সাজানো হয়েছিল। কারণ, ভারত হয়তো বিশ্বাস করে, তার আঞ্চলিক ও নিরাপত্তাবিষয়ক ইস্যুতে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বেশি যত্নশীল।
বাংলাদেশ এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য, যাকে "সেভেন সিস্টার্স" বলা হয়, ভূগোল, ইতিহাস, সংস্কৃতি, এবং অর্থনীতির ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। এই সাতটি রাজ্য হলো আসাম, অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, এবং ত্রিপুরা। এই রাজ্যগুলো বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব এবং পূর্ব সীমান্ত বরাবর অবস্থিত, যা দুই দেশের মধ্যে বিশেষ সংযোগের সুযোগ তৈরি করেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকালে চোখে পড়ছে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে নানা ধরনের মিম, স্লোগান ও মন্তব্য। অনেকের উপস্থাপনার ঢং এমন যেন সবাই সব জান্তা শামসের। যখন কোনও সম্মলিত ন্যারেটিভ বা দৃষ্টিভঙ্গি সমাজে সৃষ্টি হয় তখনই এর প্রকৃত পরিণতি বুঝা যায়। আঁচ করা যায় ঘটনাটির সঠিক গতিপথ। সেভেন সিস্টার্স নিয়ে প্রচারণা হচ্ছে ঠিক তেমন কৌশলে।
বিষয়টা এমন না যে সেভেন সিস্টার্স ভাঙ্গলে বাংলাদেশ অনেক বেশি উপকৃত হবে। এই নিয়ে কিন্তু মূল ধারার গণমাধ্যম ও প্রচারে পিছিয়ে নেই। আসলে আমরা কি এর গ্রাউন্ড জিরো রিয়েলেটি জানি? নাকি অতি উৎসাহী জনতার মতো স্রোতে গা ভাসায়?" ‘সেভেন সিস্টার্সে’র সার্বিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির নেপথ্যে বিশেষ করে বিগত দেড় দশকে বাংলাদেশের ভূমিকা ছিল অপরিসীম।
বছর কয়েক আগে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে কথা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “ভারতকে আমি যা দিয়েছি, তা তারা সারা জীবন মনে রাখবে!”বহুল-আলোচিত সেই মন্তব্য নিয়ে পরে বহু চর্চা হলেও শেখ হাসিনা সে দিন ঠিক কী দেওয়ার কথা বলেছিলেন, তা কখনওই ভেঙে বলেননি বা স্পষ্ট করেননি।কিন্তু দুই দেশেই পর্যবেক্ষক ও বিশ্লেষকরা ধারণা করে থাকেন, তিনি সেদিন সেভেন সিস্টার্সে শান্তি ও প্রগতি ফিরিয়ে আনার দিকেই ইঙ্গিত করেছিলেন– ভারতের যে অঞ্চলটি ঢাকায় ক্ষমতার পালাবদলের পর আবার নতুন করে আলোচনায়!
বাংলাদেশের সাথে ভারত পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম স্থল সীমানা ভাগাভাগি করে আসছে। এর মধ্যে ভারতের সেভেন সিস্টার্স বা সাত রাজ্যের সাথে সীমান্ত আছে প্রায় প্রায় ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার। আসলে বাংলাদেশের সাথে ভারতের যে চার হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ স্থলসীমান্ত রয়েছে তার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই কিন্তু এই সেভেন সিস্টার্সের সঙ্গে যুক্ত। আরও নির্দিষ্ট করে বললে সাতটি রাজ্যের মধ্যে চারটি রাজ্য – আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরামের সাথে সরাসরি সংযুক্ত আছি আমরা।মূলত ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যগুলোকে একসাথে বুঝাতে সেভেন সিস্টার্স কথাটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে ঐতিহাসিক কাল থেকে। ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে অতীতে সেভেন সিস্টার্স-ভুক্ত ভারতের বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ও সশস্ত্র স্বাধীনতাকামীরা এদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে অবাধে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতো।আবার যখন ওই নেতাদের বাংলাদেশ সরকার ভারতের হাতে তুলে দিতো তখনই তাদের সক্রিয়তাতেও দেখা যেতো উল্টো পুরান। তাইতো সুনিশ্চিত ভাবে বলা যায় সেভেন সিস্টার্সের সাথে আমাদের সম্পর্ক ছিল পরিপূরক বাতাবরণের মতো। ভারতের এই অঞ্চলটির সাথে আমাদের রয়েছে স্ট্র্যাটেজিক লিভারেজ বা কৌশলগত ভূমিকা। মজার বিষয় হলো সেভেন সিস্টার্সের সাথে ভারতের সীমানা মাত্র এক শতাংশ তাও শুধু চিকেন নেক বা শিলিগুড়ি করিডোর দিয়ে এবং বাকি ৯৯ শতাংশ চীন, ভুটান, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর সাথে।ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল তথা সেভেন সিস্টার্স যে নিরাপত্তাগত দৃষ্টিতে গত এক দশকে অনেকটাই স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ– তার পেছনে শেখ হাসিনা সরকারের অবদান ভারতের কর্মকর্তা ও পর্যবেক্ষকরাও তাই অকুণ্ঠে স্বীকার করেন।সেভেন সিস্টার্সের জন্য শেখ হাসিনা সরকারের আর একটি বড় উপহার ছিল বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ভারতকে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া।এই দুটি বন্দর ব্যবহারের সুযোগ স্থলবেষ্টিত সেভেন সিস্টার্সকে শুধু সামুদ্রিক বাণিজ্যের নতুন দিগন্তই খুলে দেয়নি, ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে ভৌগোলিক দূরত্বও অনেক কমিয়ে দিয়েছে। মাতারবাড়ি বন্দর চালু হলে সেই সুযোগ আরও বাড়বে নিশ্চিতভাবে।মিয়ানমারের মধ্যে দিয়ে ভারত যে কালাদান মাল্টিমোডাল প্রোজেক্ট বাস্তবায়নের কাজে হাত দিয়েছিল, সেটার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তাও অনেক কমে গিয়েছিল বাংলাদেশ সরকারের ওই সিদ্ধান্তের ফলে।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের মণিপুর ও মিয়ানমারের চিন প্রদেশের ঘটনাবলি বৈশ্বিক রাজনৈতিক সমীকরণের হিসাব নিকাশ সব পাল্টে দিচ্ছে মুহূর্তে। অতীতে সেভেন সিস্টার্সের রাজ্যগুলো জাতিগত ও ধর্মীয় মেরুকরণে একে অপরের সাথে দ্বন্দ্বে লিপ্ত ছিল। এখন যে এসব নেই তাও কিন্তু নয়। বিশেষ করে গত বছর থেকে চলমান মণিপুর দাঙ্গায় হিন্দু মেইতেইদের হাতে খ্রিস্টান কুকিরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনা এবং বিগত বছরগুলোতে ভারত সরকারের বৈষম্য দমন নীতিতে একটি নীরব জাগরণের ঢেউ তৈরি হয়েছে এই জনপদে। আবার মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে চীন প্রদেশের যুদ্ধরত স্বাধীনতা সংগ্রামী গোষ্ঠীর সাথে মিজোদের সহানুভূতির ডালি সৃষ্টি করেছে নানা রহস্যের। ভূরাজনীতিতে ঘুরে ফিরে আসছে পুরনো মডেলের রসায়ন। সামনে আসছে খ্রিষ্টান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার সুপ্রাচীন দাবি। আদৌ কি এ অঞ্চলে খ্রিষ্টান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব? যুক্তিতর্ক হয়তো অনেকেই নিজেদের মতো করে উপস্থাপন করবে। কিন্তু বাস্তবতা উপলব্ধি করতে প্রয়োজন গভীর অনুসন্ধান।এই জনপদে খ্রিস্টান রাষ্ট্রের গুঞ্জনটা অবশ্য এমনি এমনি তৈরি হয়নি। এর পেছনে রয়েছে গভীর যুক্তি, জাতিগত ভাবাবেগ ও বহুমাত্রিক পরিসংখ্যান। আন্তর্জাতিক প্রভাবের কথা না হয় বাদই দিলাম। এ গুঞ্জনের ভরকেন্দ্র রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জনপদগুলো। বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের মতো দেশের কিছু ভূরাজনৈতিকভাবে কৌশলগত সুনির্দিষ্ট এলাকা। যেমন মিয়ানমারের প্রান্তিক অঞ্চল দক্ষিণ-পূর্বের কারেন, উত্তরের কাচিন এবং পশ্চিমের চীন অঞ্চল। এই তিন এলাকায় গেরিলা যুদ্ধ সবচেয়ে বেশি সুসংগঠিত এবং এই তিন অঞ্চলে খ্রিস্টান ধর্মবিশ্বাসের মানুষও অনেক বেশি। বিশেষ করে চীন এলাকায় ৯৬ শতাংশ মানুষ খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। আবার ভারতের উত্তর–পূর্ব জনপদগুলোর মধ্যে মেঘালয় (৭১ শতাংশ), মিজোরাম (৮৭ শতাংশ) এবং নাগাল্যান্ডে (৮৮ শতাংশ) খ্রিস্টানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। এর পাশাপাশি মণিপুর ও অরুণাচলে খ্রিস্টান জনসংখ্যা রয়েছে (৪১ ও ৩০ শতাংশ)। ভারতের মিজোরাম ও মিয়ানমারের চীনসংলগ্ন বাংলাদেশের বান্দরবানের সীমান্তবর্তী উপজেলা (রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি) খ্রিষ্টানধর্মালম্বীদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি চোখে পড়ে। পরিসংখ্যান বলছে শুধু বান্দরবানে খ্রিষ্টান জনসংখ্যা (১০ শতাংশের) মতো। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন অন্যুায়ী তিন পার্বত্য জেলা তথা খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি এবং বান্দরবান জেলার জনসংখ্যা অবাঙালি/ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংখ্যা ৯২০২১৭ (৪৯.৯৪ শতাংশ ) জন।সেভেন সিস্টার্সের সাথে কাছাকাছি থাকা মিয়ানমারের কারেন, কাচিন, সাগাইং ও চীন এলাকার আয়তন প্রায় পৌনে তিন লাখ বর্গকিলোমিটার। আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামের আয়তন প্রায় তেরো-চৌদ্দ হাজার বর্গকিলোমিটার। সব মিলে তাদের প্রস্তাবিত মানচিত্রে এই পুরো ত্রিদেশীয় জনপদের আয়তন প্রায় পাঁচ লাখ বর্গকিলোমিটারের বেশি। তাহলে বুঝা যাচ্ছে এই চর্চিত জনপদগুলো একসাথে রেখা টানলে কত বিশাল আয়তনের ভূখণ্ডের জন্ম হয়।মোদ্দা কথা সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারের চলতি গৃহযুদ্ধ, ভারতে কুকি-চিনদের বিদ্রোহ এবং এই জনপদে প্রতিনিয়ত জাতিগত সংঘাত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় খ্রিস্টান রাষ্ট্রের গুঞ্জনে একধরনের উসকানি হিসেবে কাজ করছে বলা যায়। আবার এই জনপদে কিছু এলাকায় খ্রিষ্টধর্মালম্বীদের রয়েছে রাজ্য চালানোর অভিজ্ঞতা ও প্রতক্ষ্য অভিলাষ। তবে এটা ঠিক এই জনপদগুলো আয়তনে অনেক বড় হলে কিন্তু লোকসংখ্যায় কম। সবমিলিয়ে খ্রিস্টান রাষ্ট্র গঠনের দাবি যে অমূলক, তা একেবারে শূন্য উড়িয়ে দেবার মতো নয়। প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে সরল সমীকরণে।
প্রাকৃতিক নিয়ম বলুন আর রাজনৈতিক সত্তাগত নিয়ম বলুন পৃথিবীতে নিজেদের প্রয়োজনে বড় বড় রাষ্ট্রগুলো ছোট ছোট টুকরো হয়ে গেছে। ঠিক যেমন রাশিয়া টুকরো টুকরো হয়ে গেছে ভারতও হয়েছে। ভারত যে আর ভাঙবে না এটা কিন্তু হলফ করে বলা যাচ্ছে না এখনই। এটা ঠিক ভারত ভাঙলে আমাদের খুশি লাগে। হওয়ারই কথা। বিগত দিনে অসম কূটনৈতিক শিষ্টাচার, বড় ভাই সুলভ ব্যবহার, কর্তৃত্ববাদী আচরণ ও বাণিজ্য ঘাটতির কারণে এদেশে সাধারণ মানুষের মনে জনরোষ সৃষ্টি হয়েছে। তাই ভারত বিরোধী যে কোনও তথ্যে বা খবরে আমাদের মন খুব আন্দোলিত হয়।কিন্তু ভুলে যাওয়া চলবে না যে সেভেন সিস্টার্স একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এলাকা। বিতর্কের জন্য ধরে নিলাম যদি কুকিরা স্বাধীনতা আদায় করে ফেলে তাহলে একটা বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন কুকিদের যে নিজস্ব রাষ্ট্রের মানচিত্র আছে তাতে কিন্তু বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলও যুক্ত রয়েছে। যদি এই সেভেন সিস্টার্স কোন কারণে ভাঙে কিংবা আগুন জ্বলে তাহলে এর রেশ আমাদের দেশেও সরাসরি আছড়ে পড়বে।আসলে সেভেন সিস্টার্স এর পতন শুরু হলে আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম কোনোভাবে তা সামাল দিতে পারবে না। অনেকটা নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায় এই নীতির মতন। যদিও এর পেছনে রয়েছে বেশ একাট্টা যুক্তি। যেমন, আমাদের পাহাড় যে খুব শান্ত প্রিয় এটা কিন্তু ঢালাও ভাবে বলা যাবে না। বিগত কোনও সরকারই পাহাড়িদের সুরক্ষায় তেমন লক্ষণীয়ভাবে কোনও কাজ করেনি। বরং জিইয়ে রেখেছে পাহাড়ি বাঙালি সংঘাত। যুগ যুগ ধরে তারা হয়ে এসেছে বৈষম্যের শিকার।
রাষ্ট্রের বাহিনী দিয়ে তাদেরকে করা হয়েছে প্রতিঘাত। তাদের আন্দোলনকে চেষ্টা করা হয়েছে বারবার দমিয়ে রাখার। পাহাড়ীরা যে এটাকে খুব ভালো চোখে দেখছে তা কিন্তু নয়। পাহাড়ে অসন্তোষ যেমন আছে আবার ইন্ধন ও আছে। কৌশলে না এগোলে বড় ধরনের খেসারত দিতে হবে আমাদেরকে। এখন আমাদের কি উচিত কুকিদের স্বাধীনতার সমর্থন দেওয়া? নিজেদের পার্বত্য অঞ্চল অশান্ত করে কি অন্যের যাত্রাভঙ্গ করা আদৌ মোক্ষম কাজ হবে আমাদের? সময় এসেছে এই বিষয়গুলো নিয়ে গভীরভাবে ভাববার। খুব দূরদর্শিতা ও বিচক্ষণতার সহিত আমাদের অমীমাংসিত বিষয়গুলো সুরাহা করতে হবে। যদি ব্যর্থ হয় তাহলে অন্তর্ঘাতে পড়তে হবে রাষ্ট্রকে।
লেখক : শিক্ষার্থী, গণিত বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা ।
আমার বার্তা/সাদিয়া সুলতানা রিমি/জেএইচ