বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ

প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৪, ১৭:৪৮ | অনলাইন সংস্করণ

  কমল চৌধুরী

বাংলাদেশের উন্নয়নের দিশারি  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নের্তৃত্বে গত দেড় দশকে দেশ বিশ্ময়কর প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে এবং স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ ঘটেছে। সামাজিক সূচকেও বাংলাদেশের অর্জন অতুলনীয়।এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় আগামী ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে আনুষ্ঠানকিভাবে আমাদের উত্তরণ ঘটবে। তবে এ উত্তরণের পর বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক বানিজ্যের সকল নিয়ম-কানুন অন্যান্য উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের মত সমানভাবে প্রযোজ্য হবে। আমাদের দেশে প্রস্তুতকৃত পণ্য বর্তমানে বিভিন্ন দেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রেফারেনসিয়াল শুল্কে ও কোটামুক্ত প্রবেশের সুবিধা পেয়ে থাকে, যা উত্তরণের পর ক্রমান্বয়ে হ্রাস হবে। রপ্তানিতে যে নগদ প্রণোদনা প্রদান করা হয় তাও পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার করে নিতে হবে এবং একই সাথে আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান শুল্ক-কর হার পর্যায়ক্রমে কমিয়ে আনতে হবে।এর ফলে দেশে প্রস্তুতকৃত যে সকল পণ্য উচ্চ আমদানি শুল্কের মাধ্যমে স্থানীয় বাজারে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিরক্ষণ সুবিধা পেয়ে আসছে,আগামীতে তারা মুক্ত প্রতিযোগীতার সম্মুখীন হবে। পরিবর্তিত এ বাস্তবতায় স্থানীয় শিল্পকে নিজেদের দক্ষতা ও কৌশল দিয়েই বহির্বিশ্বের সাথে প্রতিযোগীতা করে টিকে থাকতে হবে।

এ প্রেক্ষাপটে উৎপাদনে নতুন ও উন্নততর প্রযুক্তি ব্যবহার,পণ্যের গুণগত মান উন্নয়ন, নতুন পণ্য উদ্ভাবন এবং কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে শিল্পপণ্যের প্রতিযোগীতার সক্ষমতা বৃদ্ধি, পণ্য বৈচিত্রায়ন ও পণ্যের বহুমুখীকরণে যথাযথ নীতি সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণকে মসৃণ ও টেকসই করার লক্ষ্যে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। সে উদ্দেশ্যে অর্থাৎ স্বল্পোন্নত দেশ হতে আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তরণের পর আন্তর্জাতিক বানিজ্যের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য প্রতিক’ল অবস্থা মোকাবিলা করার জন্য  স্মথ ট্রানজিশন স্ট্রেটেজি (এস টি এস) প্রণয়নের লক্ষ্যে সরকার উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করেছে।উক্ত কমিটি এবং তার অধীনে গঠিত বিভিন্ন উপ-কমিটি ইতোমধ্যে বিভিন্ন কৌশল নিরুপণ করেছে, যার ভিত্তিতে উত্তরনের চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ বর্তমানে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

সুদীর্ঘ সংগ্রামমুখর এবং গৌরবোজ্জ্বল রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে বিশ্বে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা, এ দেশের মানুষকে উন্নয়নের শীর্ষবিন্দুতে পৌঁছে দেয়া। বিনিময়ে তিনি প্রত্যাশা করেননি কিছুই। জেলে কাটিয়েছেন ৪ হাজার ৬৮২ দিন, অমিত সাহসে উপেক্ষা করেছেন মৃত্যুর সম্ভাবনা। তাঁর সব স্বপ্নের সব পরিকল্পনার কেন্দ্রে ছিল দেশ ও দেশের মানুষ।


এ দেশের সার্বভৌমত্বকে ব্যাহত করতে যে ষড়যন্ত্রের জাল কুচক্রিরা বিস্তার করেছিল, এর ফলে বঙ্গবন্ধু তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন দেখে যেতে পারেননি। এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য তিনি যে কর্মপরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন তা সমাপ্ত করার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাননি।  সোনার বাংলা বিনির্মানের সেই অসমাপ্ত ও মহান পরিকল্পনা আজ তারই সুযোগ্য কন্যা, আমাদের জাতির গর্ব,  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে পূরণ হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বিবেচনায় সমগ্র বিশ্বে বাংলাদেশ আজ এক অবাক বিশ্ময়। গত দেড় দশকে বাংলাদেশের সামাজিক, আর্থিক, ভৌত অবকাঠামো, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, মানবসম্পদ, স্বাস্থ্য, বিজ্ঞানসহ সকল ক্ষেত্রে যে অভ’তপূর্ব উন্নয়ন সংঘটিত হয়েছে তা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভিত রচনা করেছে। বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে বিশ্বের সকল উন্নয়নশীল দেশের জন্য রোল মডেল। ২০০৯ সাল থেকে বিগত ১৫ বছরে আমাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে ।

গত দেড় দশকে বাংলাদেশ একটি গতিময় ও দ্রুতবর্ধনশীল অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে বিশ্বের দরবারে মর্যাদা লাভ করেছে। এই সময়ের মধ্যে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির গড় প্রবৃদ্ধি ৬.৭ শতাংশের বেশি ছিল এবং ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে মাথাপিছু জাতীয় আয়ের পরিমাণ ছিল ২ লক্ষ ৭৩ হাজার ৩৬০ টাকা।মোট দেশজ উৎপাদনের মানদন্ডে ২০২৩ সালের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৩তম বৃহৎ অর্থনীতি। একই সময়ে দারিদ্রের হার ১৮.৭ শতাংশে এবং অতি দারিদ্রের হার ৫.৬ শতাংশে নেমে এসেছে।মানুষের গড় আয়ু বর্তমানে ৭২.৮ বছর,নিরাপদ খাবার পানি পাচ্ছে ৯৮.৮ শতাংশ ও সেনিটারি ল্যাট্রিন ব্যবহার করছে ৯৭.৩২ শতাংশ মানুষ এবং শিশু মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ২১ জনে ও মাতৃমৃত্যু হার প্রতি লাখে ১৬১ জনে নেমে এসেছে। বিগত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ খাতে উৎপাদন সক্ষমতা ৬ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িঁয়েছে ৩০ হাজার ২৭৭ মেগাওয়াটে।বিদ্যুৎ সুবিধাভোগীর হার ৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এর ফলে বর্তমানে শতকরা ১০০ ভাগ জনগনকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। স্বাস্থ্য খাতেও গত দেড় দশকে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে।এ সময়ের মধ্যে সরকারি হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৭১ হাজার, সরকারি ডাক্তারের সংখ্যা ৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৩০ হাজার ১৭৩ জন,সরকারি নােের্সর সংখ্যা ৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৪৪ হাজার ৩৫৭ জন হয়েছে।নার্সিং কলেজ এন্ড ইনস্টিটিউটের সংখ্যা ৩১টি থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৯৯টিতে দাঁড়িয়েছে এবং কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৩১১টি।কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র হতে বিনামূল্যে ২৭ প্রকার ঔষধ প্রদান করা হচ্ছে।  দানাদার শস্যের মোট উৎপাদন ১ কোটি ৮০ লক্ষ মেট্রিক টন হতে ৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৪ কোটি ৯২ লক্ষ ১৬ হাজার মেট্রিক টন,মোট মৎস উৎপাদন ২১.৩০ লক্ষ মেট্রিক টন হতে ২.৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৫৩.১৪ লক্ষ মেট্রিক টন,গবাদি পশুর সংখ্যা ৪ কোটি ২৩ লক্ষ ১ হাজার হতে প্রায় ২ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৭ কোটি ৯৮ লক্ষ ৭৮ হাজার, পোল্ট্রির সংখ্যা ১৮ কোটি ৬ লক্ষ ২২ হাজার হতে প্রায় ৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৫২ কোটি ৭৯ লক্ষ ১৯ হাজার হয়েছে। যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে জেলা, আঞ্চলিক ও জাতীয় মহাসড়কের পরিমাণ ১২ হাজার ১৮ কিলোমিটার থেকে প্রায় ৩ গুণ বৃদ্ধি করে ৩২ হাজার ৬৭৮ কিলোমিটারে এবং গ্রামীন সড়ক ৩ হাজার ১৩৩ কিলোমিটার হতে প্রায় ৭৬ গুণ বাড়িয়ে ২ লক্ষ ৩৭ হাজার ৪৪৬ কিলোমিটারে উন্নীত করা হয়েছে। মোট রেলপথ ২ হাজার ৩৫৬ কিলোমিটার থেকে দেড় গুণ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৩ হাজার ৪৮৬ কিলোমিটার।

২০০৬ হতে ২০২৩ সময়ের মধ্যে মোট জনগোষ্ঠীর ইন্টারনেট ব্যবহার ০.২৩ শতাংশ হতে ৩৪২ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৭৮.৫৫শতাংশে উন্নীত হয়েছে।এ সময়ের মধ্যে সক্রিয় মোবাইল ফোন সিম সংখ্যা এক কোটি ৯০ লক্ষ হতে প্রায় ১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ১৮ কোটি ৮৬ লক্ষ ৪০ হাজার, ডিজিটাল সেবা সংখ্যা (সরকারি সংখ্যা কর্তৃক) ৮টি হতে ৪০০ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৩ হাজার ২০০টি, ওয়ান স্টপ সেন্টারের সংখ্যা ২টি হতে বৃদ্ধি পেয়ে ৮ হাজার ৯২৮টি ,সরকারি ওয়েবসাইটের সংখ্যা মাত্র ৯৮টি হতে ৫৩৩গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৫২ হাজার ২০০টির অধিক হয়েছে। ২০০৬ সালে আইসিটি পণ্য/সেবা রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২১ মিলিয়ন ডলার,যা ২০২৩ সালে এসে ১.৯ বিলিয়ন ডলারে পৌছেছে। আইটি ফ্রি-ল্যান্সারের সংখ্যা ২০০ জন হতে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৬ লক্ষ ৮০ হাজার জনে উন্নীত হয়েছে। ফ্রি-ল্যান্সারের সংখ্যা বিবেচনায় সারা বিশ্বে বাংলাদেশে ২য় স্থানে রয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের ২৯তম সাধারণ পরিষদে বলেছিলেন-“আমরা এমন একটি বিশে^র দিকে তাকিয়ে আছি,মানবতা যেখানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিস্ময়কর অগ্রগতির যুগে দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম।পৃথিবীর সকল সম্পদ ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানের সুষম বন্টনের মাধ্যমে, এমন কল্যাণের দ্বার উন্মোচিত হবে, যেখানে প্রতিটি মানুষের সুখী ও সম্মানজনক জীবনের নূন্যতম নিশ্চয়তা থাকবে।”জাতির পিতার এ দর্শন হৃদয়ে ধারণ করে এবং  প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে  এখন থেকেই সুচিন্তিত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিশ্বব্যাপি প্রযুক্তি উন্নয়নের দুর্বার গতির সাথে তাল মিলিয়ে এ দেশের মানুষ যেন উন্নয়নের সর্বোচ্চ শিখরে আরোহন করতে পারে, সে লক্ষ্য অর্জনে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে ।

কোভিড-১৯ অতিমারির বিরুপ অর্থনৈতিক প্রভাবকে অত্যন্ত সফলভাবে মোকাবেলা করে আমরা প্রবৃদ্ধির গতি পুনরুদ্ধার করতে পারলেও বিশ্বব্যাপী গত দু-বছরের ভ’-রাজনৈতিক অস্থিরতা আমাদের নতুন ঝুঁকির সম্মুখীন করেছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারীতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে ঐ বছরের জুন মাস নাগাদ বিশ্ব বাজারে ত্রুুড জ্বালানি তেলের মূল্য ব্যারেল প্রতি ১২০ ডলার ছাড়িয়ে যায় এবং গম, সার সহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যের বৃদ্বি ঘটে। বিশ্ব পণ্য বাজারের এ অস্থিরতার ফলে বাংলাদেশসহ প্রায় সব দেশে মূল্যস্ফীতি দ্রুত বাড়তে থাকে। ২০২২ সালের জুন মাস নাগাদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতির হার প্রায় ৯ শতাংশে পৌছায়। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে বৈশিক পণ্যের বাজারে সরবরাহ ঘাটতির যে আশংকা করা হয়েছিল তা পরবর্তীতে অনেকটাই প্রশমিত হয়ে আসায় জ¦ালানি তেল,গ্যাস,সার,গম,ইত্যাদির মূল্য বর্তমানে উল্লেখযোগ্য পরিমানে কমে এসেছে। এপ্রিল ২০২৪ এর হিসেব অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৩.৪৭ এবং ৪.৮৩শতাংশে।আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের এ বছরের এপ্রিল মাসের প্রক্ষেপণ অনুযায়ী বৈশ্বিক গড় মূল্যস্ফীতি কমে আসার সাম্প্রতিক প্রবনতা সত্ত্বেও বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি এখনও ৯ শতাংশের উপরে রয়েছে। যদিও দেশের বাজারে সরবরাহ শৃঙ্খলে  ত্রুটি বাংলাদেশে এ উচ্চ মূল্যস্ফীতির একটি প্রধান কারণ, তবে আরেকটি অন্যতম কারন হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার অবচিতি। ২০২১-২২ অর্থবছরে কোভিড ১৯ অতিমারির প্রকোপ কমে এলে ব্যবসা-বানিজ্যে গতি ব্যপকভাবে বৃদ্ধি পায় এবং ঐ বছরে বানিজ্য ঘাটতি ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যায়, যার ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং বৈদেশিক মুদ্রার সাথে টাকার বিনিময় হারের উপর চাপ তৈরি হয়। গ্রস বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই মাসের শেষে ছিল ৩৯.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা চলতি বছরের মে মাসের শেষে কমে ২৪.২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।মুদ্রা বিনিময় হারকে স্থিতিশীল রাখতে গিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই হতে এ পর্যন্ত রিজার্ভ হতে প্রায় ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজারে ছাড়তে হয়েছে।  

 

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট, কবি।

 

আমার বার্তা/কমল চৌধুরী/এমই