এক বছর ধরে ঢামেক মর্গে থাকা ৬ মরদেহ আঞ্জুমান মফিদুলে হস্তান্তর

প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২৫, ১৬:২৩ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে নিহত অজ্ঞাত ছয় জনের মরদেহ আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আঞ্জুমান ইসলামের কাছে ওই ছয় লাশ হস্তান্তর করা হয়। নিহতদে মধ্যে এক জন নারী (৩২), বাকিরা পুরুষ। তাদের বষয় আনুমানিন ২৫ থেকে ৩০ এর মধ্যে।

গত এক বছর ধরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পড়েছিল ওই ছয় মরদেহ। এ সময়ে তাদের খোঁজে আসেননি কেউ। এতে অজ্ঞাত হিসেবেই আজ তাদের দাফন করা হবে জুরাইন কবরস্থানে।

ঢাকা মেডিক্যালক কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা.কাজীগোলাম মোখলেসুর রহমান জানান, জুলাইয়ের আন্দোলনের সময় (৭ জুলাই থেকে ১৪ জুলাইের) মধ্যে লাশগুলো ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসে। তাদের মধ্যে একজনের শর্ট গানের গুলি রয়েছে। বাকি পাঁচ জনকে ভোতা জাতীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। তাদের মধ্যে সবার ডিএনএ আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আজ দুপুরের দিকে পুলিশের মাধ্যমে আঞ্জুমান মফিদুলের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আদালতের আদেশে লাশগুলো হস্তান্তর করা হলো।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে যুগ্ম-কমিশনার মো. ফারুক আহমেদ জানান, জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ছয়টি মরদেহ এখানে রাখা হয়েছিল। তাদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছিল। আমাদের পুলিশের যতগুলো কার্যক্রম ছিল, প্রত্যেকটি আমরা সম্পন্ন করেছি। আমরা বিষয়টি আদালতকে জানিয়েছি। আদালতের নির্দেশেই মরদেহগুলো আঞ্জুমান মফিদুলে কাছে দাফনের জন্য হস্তান্তর করি। কবরস্থানে লাশের প্রত্যেকটি সিরিয়াল অনুযায়ী নম্বর থাকবে। ভবিষ্যতে যদি কারও সঙ্গে ডিএনএ স্যাম্পল ম্যাচ করে, তাহলে মরদেহ স্বজনের কাছে দিয়ে দেওয়া হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মরদেহগুলো শনাক্ত করা যায়নি। আমরা ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেওয়ার চেষ্টা করেছি কিন্তু তাদের হাতের অবস্থা খারাপ থাকায় ফিঙ্গার প্রিন্ট সম্ভব হয়নি। এ কারণে তাদের পরিচয় শনাক্ত সম্ভব হয়নি।

আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের দাফন সেবা অফিসার মো. কামরুল ইসলাম বলেন, দাফনের উদ্দেশ্যে জুরাইন কবরস্থানে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ছয়টি মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অজ্ঞাত ছয়টি মরদেহের মধ্যে তিনটি যাত্রাবাড়ী থানার, একটি পল্টন থানার ও দুইটি শাহবাগ থানার। মরদেহগুলোর ডিএনএ সংরক্ষণ করা রয়েছে, যেন ভবিষ্যতে তাদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়।

আমার বার্তা/এল/এমই