মহান মে দিবস অমর হোক শ্লোগানে মুখরিত রাজপথ

প্রকাশ : ০১ মে ২০২৫, ১৩:০৮ | অনলাইন সংস্করণ

  আলিমা আফরোজ লিমা

মহান মে দিবস উপলক্ষে বিজয় নগর এলাকায় শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত র‌্যালি। ছবি: আলিমা আফরোজ লিমা

দেশের অর্থনীতির বিকাশ এবং উন্নয়ণে শ্রম সমাজের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।দেশের উন্নয়নের অন্যতম হাতিয়ার শ্রম সমাজ।শ্রমজীবি মানুষের কর্মসংস্থান এবং সংকট মোকাবেলায় সরকারকেই নিতে হবে মূল পদক্ষেপ।

শ্রমজীবী মানুষের উন্নয়ণ ও কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করণের লক্ষে সারাদেশে পালিত হচ্ছে শ্রমিক দিবস।এ উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবসহ শ্রম ভবনের সামনে উৎযাপিত হচ্ছে র‌্যালি ও বিভিন্ন আলোচনা সভা।

‘আওয়াজ ফাউন্শেনের’ উদ্যোগে সম্মিলিত শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত র‌্যালি প্রেসক্লাব থেকে শুরু করে শ্রম ভবনের সামনে শেষ হয় এছাড়া বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আলোচনা সভার আয়োজন করে।

শ্রমজীবী  হয়েছে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে; যেখানে শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি, নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা, ওভারটাইম, সবেতন ছুটি, বিমা, পেনশন ও গ্র্যাচুইটির অধিকার থাকে না। এমনকি প্রাতিষ্ঠানিক খাতেও কারখানার মালিকেরা শ্রমিকদের যে মজুরি দেন, তা মানসম্পন্ন জীবনযাপনের জন্য যথেষ্ট নয়। শ্রমিকদের কাজের পরিবেশও ভয়ংকর অনিরাপদ, যার ফলে নিয়মিত অকালমৃত্যু ঘটছে। সর্বোপরি বিভিন্ন দাবি নিয়ে রাজপথে পালিত হচ্ছে মে দিবস।

সম্মিলিত শ্রমিক ফেডারেশন দাবিগুলো হলো:  

১. বাঁচার মত মজুরি নিশ্চিত করতে হবে।
২. প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রতিষ্ঠানিক সেক্টরে মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাস করতে হবে।
৩.অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত কর এবং আই এলও সনদ ১৮৯ অনুস্বাক্ষর কর।
৪. সকল কারখানায় লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা রোধ করতে আই এলও সনদ ১৯০ অনুস্বাক্ষর কর।
৫. শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত কর।
৬. ব্রান্ড এ্যাকার্ড চুক্তি স্বাক্ষর কর ও প্রাইসরেট বৃদ্ধি কর।
৭. সকল শ্রমিকের জন্য মৃত্যুভয়হীন নিরাপদ কর্মক্ষেত্র নিশ্চিত কর।
৮. শ্রমজীবি মানুষের জন্য ভর্তুকি মূল্যে রেশন ব্যাবস্থা নিশ্চিত কর।
৯. ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেটে শ্রমিকদের জন্য সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ রাখতে হবে।

বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালায় সন্নিবেশিত শ্রমিক স্বার্থ-বিরোধী বিধিসমূহ বাতিল পূর্ব নূন্যতম বিধিমালা প্রণয়ন।সঠিক কর্মঘন্টা ও কর্মপরিবেশ নিশ্চত করনে দেশ ও দশের সেবার প্রত্যয়ে দেশ ও দশের উন্নয়নে সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে মহান মে দিবস।

            

আমার বার্তা/আলিমা আফরোজ লিমা/এমই