কোম্পানির মুনাফার জায়গা গোখাদ্য হতে পারে না: ফরিদা আখতার

প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৮:২৩ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, কৃষির উন্নতি হয়েছে সত্যি কিন্তু একইসঙ্গে আমরা গোখাদ্য নষ্ট করছি। গরুর তথা প্রাণিকুলের নিজের খাবারের পছন্দ-অপছন্দ আছে।

তিনি বলেন, গোখাদ্য কখনো বাণিজ্যিক কোম্পানিগুলোর মুনাফার জায়গা হতে পারে না। সেই জায়গা থেকে বিএলআরআই নেপিয়ার নিয়ে, ঘাসভিত্তিক খাদ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করছে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি আমাদের মাথায় রাখতে হবে, ঘাস উৎপাদনের জায়গা পর্যাপ্ত নয়। তাই আমাদের যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) এ আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, কৃষি ও প্রাণিসম্পদ আলাদা নয়, বরং অবিচ্ছেদ্য। তাই কৃষকদের মতো প্রাণিসম্পদ লালন-পালনকারীদের সব সুযোগ-সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যেই প্রাণিসম্পদ খামারিদের জন্য পৃথক ব্যাংক তৈরির বিষয়ে সরকার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি খামারিদের স্বল্প সুদে ঋণ প্রদানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যেও মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, দেশের মানুষের প্রয়োজনীয় আমিষের সরবরাহ নিশ্চিত করা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রধান দায়িত্ব। খামারিরা যেভাবে ডিম, দুধ, মাংস উৎপাদন করছে এর ফলেই আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে। কৃষি কাজ বা প্রাণিসম্পদ পালনকে মর্যাদাপূর্ণ কাজ হিসেবে নিতে হবে।

এসময় তিনি বিএলআরআই ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের ভালো বিজ্ঞানী আছে, ভালো কর্মকর্তা আছে। বিএলআরআই ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে আলাদা ভাবা যাবে না, তাদের একসাথে কাজ করতে হবে।

সেমিনারে বিএলআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- অস্ট্রেলিয়ার চার্লস স্টার্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবং ডেপুটি ডিরেক্টর গুলবালি ড. ক্যামেরন ক্লার্ক। এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত পরিচালক ড. এ বি এম মুস্তানুর রহমান।


আমার বার্তা/এমই