শিক্ষককে পিয়নের সমান বেতন দিলে, তিনি কেন শিক্ষক হবেন

ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরীর প্রশ্ন

প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:৪১ | অনলাইন সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক:

একজন শিক্ষককে যদি পিয়নের সমান বেতন দেওয়া হয়, তাহলে তিনি কেন শিক্ষক হবেন— এমন প্রশ্ন রেখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী।

তিনি বলেন, এজন্যই মেধাবী ছাত্ররা শিক্ষকতায় আসে না। এ সমস্যাগুলো দূর করতে হলে তো শিক্ষানীতি করতে হবে। আপনার কারখানা যদি ভালো হয়, তাহলে আপনার প্রোডাক্টও ভালো হবে। যোগ্য শিক্ষকরাই দেশপ্রেমিক নাগরিক সৃষ্টি করতে পারবেন। তা না হলে দেশ আরও ধ্বংসের পথে যাবে।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্ট আয়োজিত ‘শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার, শিক্ষানীতি ও শিক্ষা কারিকুলাম পরিবর্তন এবং স্থায়ী শিক্ষা কমিশন গঠনের দাবিতে সর্বদলীয় জাতীয় শিক্ষা সংলাপ-২০২৫’ এ এসব কথা বলেন ঢাবির সাবেক উপাচার্য।

সরকারের উদ্দেশে আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমরা যদি প্রকৃত শিক্ষা দিতে পারি, সে অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করতে পারি, তাহলে দেশের চেহারাই বদলে যাবে। এই যে ফ্যামিলি প্ল্যানিংয়ে এত টাকা খরচ করা হয়, এসব কিচ্ছু করার দরকার নাই। জনগোষ্ঠীকে শিক্ষিত করেন। দেখবেন আপনার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তাই বলছি যে আপনি স্থায়ী শিক্ষা কমিটি যদি নাও করেন, আপনি অস্থায়ী শিক্ষা কমিশন করেন। তারপর একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেন দুর্নীতি এবং লুটপাটের। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কত কোটি টাকার বাজেট লুটপাট করেছে তা সামনে আনুন। মুক্তিযুদ্ধ প্রজেক্টের নাম করে আপনার পাঁচ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এভাবে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি যখন বাহরাইনের রাষ্ট্রদূত ছিলাম, সেখানে কেরালা এবং ফিলিপাইনের নার্সই দেখেছি শুধু। আমাদের দেশের কোনো নার্স সেখানে নেই। প্রত্যেক ইউনিভার্সিটির সঙ্গে যদি একটি নার্সিং কলেজ খুলে দেওয়া যায়, তাহলে আমাদেরও সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। কী পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আমরা অর্জন করতে পারি।

বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আব্দুল লতিফ মাসুমের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।

আমার বার্তা/এমই