পরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করতে ছড়ানো হচ্ছে গুজব

প্রকাশ : ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৮ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অস্থিরতা তৈরির লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে ছড়িয়ে যাচ্ছে গুজব। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে গুজব ছড়িয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাত ছাড়াও সমাজ ও রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে একটি চক্র। গুজব ছড়িয়ে মব তৈরির চেষ্টাও অব্যাহত রেখেছে তারা। গুজবের ৮০ শতাংশ বিদেশে বসে ছড়ানোর ফলে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে পাঁচ শতাধিক গুজব ছড়ানো হয়েছে সামাজিকমাধ্যমে। গুজবের অনেক তথ্য ও পেজ পাশের দেশ থেকে ছড়ানো হচ্ছে বলে প্রমাণ পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনী ও ফ্যাক্টচেক করা ব্যক্তিরা।

সম্প্রতি সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয় উপদেষ্টা পরিষদে পরিবর্তন আসছে। এমন একটি প্রজ্ঞাপনের কাগজ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান বিষয়টি ভুয়া।

সেনাপ্রধান পদত্যাগ করেছেন বলে গত ১১ মার্চ গভীর রাতে সামাজিকমাধ্যমে একটি খবর ছড়িয়ে পড়ে। আদতে ঘটনাটি ছিল গুজব। শুধু সেনাপ্রধানই নয় প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগেরও গুজব ছড়িয়েছে একটি মহল।

সবশেষ জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেসের ঢাকা সফরে শেখ হাসিনার ছবি সংযুক্ত করে ছড়ানো হয় গুজব। গত তিন মাসে বেশি গুজব ছড়ানো হয় রাজনৈতিক দলগুলোকে টার্গেট করে। বিএনপি ও জামায়াত এমনকি এনসিপিকে নিয়ে বেশি ছড়ানো হয় গুজব।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের লন্ডনপ্রবাসী কন্যা জাইমা রহমানের নাম ও ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে অসংখ্য ভুয়া আইডি, পেজ ও গ্রুপ খোলেন সংঘবদ্ধ চক্রটি। বিদেশ থেকে গুজব ছড়ানোয় তাদের ধরা সহজ নয় বলছে পুলিশ।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা ও অতিরঞ্জিত তথ্য অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করছেন। বিষয়গুলো আমরা নজর রাখছি এবং যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনকে কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, যারা গুজব ছড়িয়ে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে দেশে ফিরলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।


আমার বার্তা/জেএইচ