টিউলিপের পদত্যাগের পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের বিবৃতি
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫৭ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন
দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার সরকারের ইকোনোমিক সেক্রেটারির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক। তার পদত্যাগের ঘোষণার পর বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে করা পোস্টে বলা হয়েছে, জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে বৈশ্বিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করবে সরকার।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের অধিকাংশ নাগরিকের মত ইতোমধ্যেই ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, পূর্ববর্তী সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশি তহবিলের সঙ্গে জড়িত সকল সম্পদ চুরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যাপারে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করতে হবে। সেরকম কোনো অনিয়মের প্রমাণ দেখলে আশা করি সেই সম্পদগুলো বাংলাদেশকে ফেরত দেওয়া হবে- যেগুলোর প্রকৃত মালিক বাংলাদেশই।
এরইমধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সানডে টাইমসকে বলেছেন, দুর্নীতির জন্য বাংলাদেশের জনগণের কাছে টিউলিপ সিদ্দিকের ক্ষমা চাওয়া উচিত।
বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করবে সরকার। যুক্তরাজ্যসহ সব বন্ধুত্বপূর্ণ সরকার এই অপরাধের বিচারের জন্য বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়াবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫ বিলিয়ন ডলার তছরুপ নিয়ে চলমান তদন্ত পূর্ববর্তী সরকারের আমলে দুর্নীতির চিত্রই প্রকাশ করে। এসব দুর্নীতি বাংলাদেশের অগ্রগতিকে ব্যাহত করেছে। বিপুল অর্থ পাচারের ফলে দেশে আর্থিক ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে টিউলিপ সিদ্দিকের দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যমে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
অভিযোগ ওঠে, টিউলিপ বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে লন্ডনে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট এবং বাংলাদেশে রাশিয়ার সহায়তায় নির্মাণাধীন পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে মোটা অঙ্কের ঘুষ গ্রহণ করেছিলেন।
এসব অভিযোগে তার বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চলছিল। পাশাপাশি বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে পদত্যাগের চাপ বাড়ছিল। নানামুখী চাপের মুখে অবশেষে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন টিউলিপ।
আমার বার্তা/জেএইচ