দুর্নীতির শীর্ষে পাসপোর্ট-বিআরটিএ-আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা

প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২০ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

দেশের সেবা খাতগুলো থেকে সেবা গ্রহণ করতে গিয়ে দুর্নীতির শিকার হয়েছে দেশের ৭০.৯ শতাংশ খানা। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর 'সেবা খাতে দুর্নীতি: জাতীয় খানা জরিপ ২০২৩'-এ এই তথ্য উঠে এসেছে। 

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর টিআইবির কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জরিপের এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। 

টিআইবির জরিপে উঠে এসেছে, মানুষ সবচেয়ে বেশি দুর্নীতির শিকার হয়েছে পাসপোর্ট সেবা নিতে গিয়ে। ৮৬ শতাংশ খানা পাসপোর্ট সেবা নিতে গিয়ে দুর্নীতির শিকার হয়েছে। 

এছাড়া বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সেবা নিতে গিয়ে ৮৫.২ শতাংশ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সেবা নিতে গিয়ে ৭৪.৫ শতাংশ ও বিচারিক সেবা নিতে গিয়ে ৬২.৩ শতাংশ খানা দুর্নীতির শিকার হয়েছে।

জরিপের আওতাধীন খানা ছিল ১৫ হাজার ৫১৫টি। এদের মধ্যে পুরুষ ৫১.৪ শতাংশ, নারী ৪৮.৫ শতাংশ ও তৃতীয় লিঙ্গ ০.১ শতাংশ। খান প্রধানদের মধ্যে ২৩.৪ শতাংশ কৃষি/মৎস্য চাষ। 

সবচেয়ে বেশি ঘুষ দিতে হয়েছে পাসপোর্ট সেবা নিতে গিয়ে। প্রায় ৭৪.৮ শতাংশ খানা এই খাতে ঘুষ দিয়েছে। 

সেবা খাতগুলোতে গড় ঘুষের পরিমাণ ৫ হাজার ৬৮০ টাকা। টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি ঘুষ দিতে হয়েছে বিচারিক সেবা পেতে। এ খাতে প্রতি খানাকে দিতে হয়েছে গড়ে ৩০ হাজার ৯৭২ টাকা।

বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি ও ঘুষের শিকার খানার হার বরিশাল বিভাগে। এই বিভাগে দুর্নীতির শিকার ৮২ শতাংশ এবং ঘুষের শিকার ৬১.৯ শতাংশ খানা।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, 'বাংলাদেশের দুর্নীতির ব্যপকতা পরিমাপ করার একটি চিত্র এটি। বিশেষ করে সেবা খাতে। সরকারি এবং কিছু কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে সেবা নিতে গিয়ে ঘুষ লেনদেনের দুর্নীতি নিয়ে আমাদের এ জরিপ।'

তিনি বলেন, জরিপের তথ্যমতে ২০২৩ সালে জাতীয়ভাবে প্রক্কলিত মোট ঘুষের পরিমাণ ১০ হাজার ৯০২.৩ কোটি টাকা। ভূমি খাতে এর পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ২ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা।

২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সেবা খাতে জাতীয় পর্যায়ে মোট ঘুষের ন্যূনতম প্রাক্কলিত পরিমাণ ১ লাখ ৪৬ হাজার ২৫২ কোটি টাকা।
 

 


আমার বার্তা/জেএইচ