পুলিশকে জনবান্ধব করতে জোর দেবে সংস্কার কমিশন

প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:০৪ | অনলাইন সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক:

সফর রাজ হোসেন : ছবি সংগৃহীত

পুলিশের দেড়শ বছরের পুরোনো আইন সংস্কারসহ পুলিশকে জনবান্ধব করতে যা যা করা দরকার, সেসব নিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সুপারিশ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান সফর রাজ হোসেন।

রোববার (৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সফর রাজ হোসেন বলেন, ‘আমরা কাজ শুরু করেছি। গত কয়েক দিন ইনফরমাল আলোচনা করেছিলাম যে আমরা কী করবো। মানসিক প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য এই কয়দিনে আমরা পুলিশের আইনি তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছি। তাছাড়া আমি দীর্ঘদিন কাজ করেছি। আইনের অধ্যাপক আছেন। আমরা সবাই বসে একটা ওয়ার্ক প্ল্যান করবো।’

রিফর্মের কোন জায়গাটায় গুরুত্ব দিচ্ছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘১৮৬১ সালের সেই পুলিশ আইনসহ অনেক পুরোনো আইনের তো তেমন কোনও পরিবর্তন হয়নি। পুলিশ আইন আধুনিকায়ন করা উচিত। আমরা সব অংশীজনের সঙ্গে পরামর্শ করে একটি গণতান্ত্রিক দেশে কেমন পুলিশ হওয়া উচিত এবং পুলিশ যাতে জনবান্ধব হয় সেটা নিয়ে কাজ করবো। পুলিশের মুখ্য উদ্দেশ্যই যেন হয় জনগণকে সেবা দেওয়া। বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশে পুলিশ কীভাবে কাজ করে সে ধারণাগুলো আমরা নেবো। এরপর সংস্কারে সুপারিশ করবো।’

এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব) বলেন, কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। তারা যেসব সহযোগিতা চান সব সহযোগিতা দেবে সরকার।

এর আগে, গত ৩ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পুলিশ সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটির গেজেট প্রকাশ করা হয়।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও সাবেক মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল, সাবেক বিভাগীয় কমিশনার ও যুগ্মসচিব মোহাম্মদ হারুন চৌধুরী, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক শেখ সাজ্জাদ আলী, ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ মো. গোলাম রসুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শাহনাজ হুদা ও মানবাধিকার কর্মী এ এস এম নাসিরউদ্দিন এলান। এছাড়া কমিশনে আরও থাকবেন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।


আমার বার্তা/এমই