স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট সমবায় গড়ে তোলা হবে: প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২৪, ১৮:৪০ | অনলাইন সংস্করণ

  বিশেষ প্রতিবেদক:

খুব শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট সমবায় গড়ে তোলা হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রী মো. আব্দুল ওয়াদুদ (দারা)।

শনিবার (৬ জুলাই) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সমবায় অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আন্তর্জাতিক সমবায় জোট কর্তৃক আয়োজিত ১০২তম আন্তর্জাতিক সমবায় দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। এবারের প্রতিপাদ্য 'সমবায় সবার জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলে'।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, চ্যাম্পিয়ন অব দি আর্থ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মস্তিস্কপ্রসূত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে সমবায়কে আধুনিক করতে আমার মন্ত্রণালয় অহর্নিশ কাজ করছে। সমবায় আইনকে যুগোপযোগী করাসহ খুব তাড়াতাড়ি দেশব্যাপি সমবায়ীদের ডিজিটাল ডেটাবেইজ তৈরি করা হবে। এভাবেই প্রত্যেক ওয়ার্ডে সাবলম্বী স্মার্ট নাগরিক গড়ে উঠবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর  স্বপ্নের সমবায়ভিত্তিক কৃষিব্যবস্থার গুরুত্ব বোঝাতে প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, প্রায় এক কোটি ২২ লাখ সমবায়ীর প্রত্যেকে যদি নতুন করে উৎপাদনমুখী কৃষিব্যবস্থায় আত্ননিয়োগ করে, তাহলে বাংলাদেশ অচিরেই হবে উন্নত-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলা। তিনি আরও বলেন, এই বাংলার অমিত সম্ভাবনাময় সম্পদকে কাজে লাগাতে সমন্বিত উদ্যোগের বাস্তব রূপ দরকার। এর জন্য গ্রামীণ পর্যায়ে নেতৃত্বের সংকটকে কাটিয়ে উঠতে হবে।

ওয়াদুদ বলেন, কাজকর্ম হবে পেপারলেস (কাগজবিহীন)। তথ্যপ্রযুক্তির জাদুস্পর্শের মাধ্যমে সমবায়ভিত্তিক কৃষিব্যবস্থা পুরোপুরি ডিজিটাল করে গড়ে তুলতে উন্নত বিশ্ব থেকে আমাদের শিখতে হবে। দেশটা আপনার, আমার, আমাদের সকলের। তাই দেশের জন্য, দেশের উন্নয়নের জন্য ব্যক্তিস্বার্থ ত্যাগ করতে হবে।

সচিব শাহানারা খাতুন তাঁর বক্তব্যে বলেন, এবারের প্রতিপাদ্য অনুযায়ী সকলের জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে আমাদের সবাইকে বিবেকের তাড়না দ্বারা পরিচালিত হতে হবে, ভালো কাজ করতে হবে। এর জন্য চাই ঐকান্তিক আগ্রহ ও সদিচ্ছা।

সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক মো. শরিফুল সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোসাম্মৎ শাহানারা খাতুন এবং ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাকির হোসেন আকন্দ।


আমার বার্তা/এমই