শপথ নিলেন পিএসসির সদস্য প্রদীপ কুমার পাণ্ডে

প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:১৫ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক:

বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডের শপথ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান। শপথ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেল মো. গোলাম রাব্বানী।

এর আগে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সদস্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে।

রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ১৩৮ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে অধ্যাপক প্রদীপ কুমারকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে তাকে পিএসসির সদস্য নিয়োগ দিয়েছেন বলে গত (১৯ মার্চ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ১৩৯ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে তিনি দায়িত্ব নেওয়ার তারিখ থেকে পাঁচ বছর বা তার বয়স ৬৫ বছর পূর্ণ হওয়া-এর মধ্যে যেটি আগে হয়, সে সময় পর্যন্ত পিএসসির সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করবেন।

অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক পদে দায়িত্বরত।

এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রদীপ কুমার পাণ্ডে ১৯৮৯ সালে এসএসসি পাস করেন। ১৯৯১ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে মেধাতালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেন।

১৯৯৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক ও ১৯৯৫ সালে একই বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে তিনি প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেন।

২০০০ সালে একই বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন প্রদীপ কুমার পাণ্ডে। এরপর ২০০৩ সালে সহকারী অধ্যাপক, ২০১১ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০১৮ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন।

অধ্যাপক প্রদীপ পাণ্ডে ২০০৬ সালে নরওয়ে সরকারের বৃত্তির আওতায় অসলো বিশ্ববিদ্যালয়ে সামার কোর্সে অংশ নেন। ২০১০ সালে যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জার্নালিজম স্টাডিজে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

তিনি ২০১৫-২০১৮ সাল পর্যন্ত বিভাগীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের নির্বাচিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি), ইউনিসেফ, ইউএনডিপি, এশিয়া ফাউন্ডেশন, আর্টিকেল নাইনটিনের রিসোর্স পারসন ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। বিভিন্ন জার্নালে তার অর্ধশতাধিক প্রকাশনা রয়েছে।



আমার বার্তা/জেএইচ