ভাসমান-অসহায়-গরীব পরিচয়ে প্লট নেন শেখ রেহেনা-ববি-আজমিনা
প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৮:২৯ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

অসহায় হিসেবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পূর্বাচলে ১০ কাঠা করে তিনটি প্লট নিয়েছিলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহেনা, তার মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তী ও ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪’র বিচারক মো. রবিউল আলমের আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে এ কথা জানান মামলার তিন সাক্ষী।
এদিন তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) উপপরিচালক (এস্টেট ও ভূমি) মো. মাহবুবার রহমান, সহকারী পরিচালক অসীম শীল ও উল্লাস চৌধুরী। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে। এর আগে গত ১৩ অগাস্ট এই তিন মামলার তিন বাদী সাক্ষ্য দেন।
দুদক প্রসিকিউটর খান মো. মঈনুল হাসান (লিপন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাক্ষীরা জবানবন্দিতে বলেন, আসামিদের ঢাকা শহর এবং এর আশপাশে শহরে ফ্ল্যাট বাড়ি থাকা সত্ত্বেও তারা মিথ্যা হলফনামা রাজউকে পাঠান। যেখানে তারা জানিয়েছেন, ঢাকা বা নারায়ণগঞ্জের আশপাশে তাদের কোনো বাড়িঘর নেই বা অন্য কোনো সম্পত্তি নাই। নিজ নামে বা পোষ্যদের নামেও কোনো সম্পত্তি নাই। যেহেতু তাদের সম্পত্তি নাই সেহেতু তারা অসহায়। সম্পত্তি, ফ্ল্যাট ও প্লট দরকার সে কারণে তারা মিথ্যা তথ্য দিয়েছে।
প্লট বরাদ্দের দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে পৃথক ছয়টি মামলা করে দুদক। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও অপর মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকসহ আরও অনেককে আসামি করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবার ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। অযোগ্য হলেও তারা পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরে ১০ কাঠা করে প্লট বরাদ্দ নেন।
গত ৩১ জুলাই এসব মামলায় একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এসব মামলায় একটিতে শেখ রেহানা, টিউলিপ ও শেখ হাসিনাসহ আসামি ১৭ জন। আরেকটিতে আজমিনা সিদ্দিক, টিউলিপ ও শেখ হাসিনাসহ ১৮ জন এবং অপর মামলায় রাদওয়ান, টিউলিপ ও শেখ হাসিনাসহ ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আমার বার্তা/এমই