জাতীয় অন্ধ সংস্থায় ৫০ কোটি টাকার দুর্নীতি তদন্তে হাইকোর্টের নির্দেশ

প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৫, ১৩:৩৯ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

দীর্ঘ ৭০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় অন্ধ সংস্থার অন্তত ৫০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ২০২১ সালে সংস্থাটির কয়েকজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সদস্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কাছে এ অভিযোগ উত্থাপন করেন।

সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৩১ মে সংস্থার সাবেক সভাপতি মিনহাজ উদ্দিন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পক্ষে দুদকে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগে বলা হয়, তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আয়ুব আলী সাভার পৌরসভার বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত অন্ধ মার্কেট অনিয়মিতভাবে বরাদ্দ দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়াও, দোকান ভাড়ার টাকা সংস্থার তহবিলে জমা না দিয়ে তা তছরুপের অভিযোগ করা হয়েছে। মিনহাজ উদ্দিনের দাবি, ২০২১ সালেই সংস্থায় ৫০ কোটির বেশি টাকার আর্থিক অনিয়ম ঘটেছে। একই সঙ্গে, সংস্থার নাম পরিবর্তন করে "জাতীয় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সংস্থা" রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েও অনিয়মের ইঙ্গিত দেওয়া হয় অভিযোগে।

মিনহাজ উদ্দিন জানান, দুদক অভিযোগ অনুসরণ না করায় ২০২৪ সালে হাইকোর্টে রিট পিটিশন (নং-১৫০১৭/২০২৪) দায়ের করা হয়। আদালত দুদককে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। তবে নির্ধারিত সময়ের পরেও তদন্তের কোনো অগ্রগতি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।

হাইকোর্টের আদেশ দুদকে প্রেরণের পর, গত ২৫ মার্চ মিনহাজ উদ্দিন দুদকের চেয়ারম্যানকে একটি চিঠি দিয়ে দ্রুত তদন্তের অনুরোধ জানান। তবে, তিনি এখনো কোনো সাড়া পাননি।

মিনহাজ উদ্দিনের মতে, গত চার বছরে সংস্থার দুর্নীতির পরিমাণ শতকোটি টাকা ছাড়িয়েছে। তিনি বিশ্বাস করেন, হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী তদন্ত হলে আরও বড় অঙ্কের অনিয়ম উদ্ঘাটিত হতে পারে। তিনি বলেন, "দুদক যদি এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নেয়, তবে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের কল্যাণে বরাদ্দকৃত তহবিল সঠিকভাবে ব্যবহার নিশ্চিত হবে। বর্তমানে সংস্থার শতাধিক সদস্য চরম দারিদ্র্য ও মানবেতর জীবনযাপন করছেন।"


আমার বার্তা/জেএইচ